রাতে ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়া এবং সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠাই শরীরের পক্ষে ভালো কিন্তু আমাদের প্রায়ই রাতের খাবার খাওয়া শেষ করতেই ১১টা বাজে, এরপরে শুতে শুতে ১২টা পার।এছাড়া বিছানায় শুয়ে কিছুক্ষণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা। এতে করে আমাদের ঘুমাতে ঘুমাতে ২টা থেকে ৩টা, কখনও আবার ৪টা। এভাবেই কেটে যায় রাতের পর রাত। আর রাত জাগার এ অভ্যাস আমাদের থেকে যায়। এদিকে এই রুটিনে শরীরের ক্ষতিও হচ্ছে অনেক।
এছাড়া চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে ঠিক সময় ওঠা আবশ্যিক। কিন্তু বললেই তো আর হল না। ঘুমের অভ্যাস বদলানো মুখের কথা নয়। দীর্ঘদিন ধরে যদি কারও রাত জাগার অভ্যাস থাকে, তাহলে হঠাৎ করে তা বদলে সকালে ওঠার অভ্যাস তৈরি করা মোটেই সহজ নয়। অন্তত তিন সপ্তাহ টানা যদি সকাল সকাল উঠতে পারেন, তবেই অভ্যাস একটু একটু করে বদলানো শুরু করবে।
আসুন জেনে নেই সকালে ঘুম থেকে উঠার কিছু উপায়, যা মানতে পারলে একটু হলেও নতুন অভ্যাস তৈরি হতে পারে।
* প্রতিদিন সকাল ৬টায় ঘুম থেকে ওঠা এবং রাতে ১০টার পর ঘুমিয়ে পড়াই শরীরের পক্ষে শ্রেয়। কিন্তু একদিনে এত বড় বদল করতে যাবেন না। তা হলে মুশকিল হয়ে যাবে। তার চেয়ে একটু একটু করে নিজের ঘুমের সময়টা মানিয়ে নিন।
* কোন সময়ে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কোন সময়ে উঠবেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোজ একই সময়ে ঘুমানো এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। না হলে শরীরের সমস্যা হবেই।
* ঘুমানোর অন্তত দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। রাতের খাবারে যত কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেতে পারবেন, তত ভাল। ঘুমের আগে গ্রিন টি বা ক্যামোমিল টি খেলে ঘুম আসতে সুবিধা হবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লে, সকালে উঠতেও সমস্যা হবে না।
* ঘুমের এক ঘণ্টা আগে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার করবেন না। তাতে ঘুম আসতে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। বরং ফোনে পর দিনের অ্যালার্ম সেট করে বিছানা থেকে বেশি খানিকটা দূরে রেখে দিন। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে পর দিন উঠে অনেকটা যেতে হয়। এতে ঘুমও ভেঙে যাবে সহজে।