শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সবার মনটা ছটফট করে।মনকে ভালো রাখতে ভ্রমণের বিকল্প নেই তাইতো ছকে বাঁধা জীবন থেকে ছুটি নিয়ে প্রকৃতির কোলে আয়েশি অবসর কাটাতে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। তবে কোথাও যাওয়ার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভ্রমণ প্রস্তুতি।
আশপাশের নিরাপদ পানির উৎস খুঁজে বের করুন। প্রয়োজনে সঙ্গে পানির পাত্র রাখুন। পানীয় গ্রহণ করলেও খেয়াল রাখুন, তা নিরাপদ পানি দিয়ে তৈরি কি না। পানি কিংবা তরল খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া না হলে সহজেই পানিশূন্য হয়ে পড়বেন। শীতের সময়টাতেও কিন্তু পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। পানিশূন্য অবস্থায় ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ।
খাবারদাবার:
ভ্রমণে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। সময়মতো খেতে হবে। নিরাপদ খাবার খেতে হবে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে তৈরি করা খাবার গ্রহণ করুন। পথেঘাটে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেয়ে চিনাবাদাম বা কাঠবাদামের মতো শুকনা খাবার সঙ্গে রাখা ভালো। এসব খাবার থেকে পাওয়া ভিটামিন-ই ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। যেকোনো খাবার খাওয়ার আগে হাত জীবাণুমুক্ত করে নিন।
ঘুম:
ভ্রমণের সময়টায় ধরাবাঁধা নিয়মের বেড়াজাল নেই। তবে তারপরও কিন্তু এমন কিছু করা উচিত না, পরে যা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই যেমন ঘুম। ভ্রমণে গিয়ে হয়তো প্রতিটি মুহূর্তই উপভোগ করতে চান। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, কুয়াশামাখা ভোর, গোধূলির শেষ আলো, শিশিরকণা, পূর্ণিমা, এমনকি ভ্রমণসঙ্গীর সঙ্গে রাতভর আড্ডা—সবই আপনার চাই? তাহলে কিন্তু মুশকিল! ঘুমের জন্য সময় রাখতেই হবে। নইলে সাময়িক ভালো লাগার এই নির্ঘুম সময়ের প্রভাব পড়বে শরীরে। তাই রাতভর আড্ডা কিংবা ডিজিটাল স্ক্রিনে বাড়তি সময় কাটানোর ইচ্ছাকে ‘পাত্তা’ দেবেন না।