× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

যে বিষয়গুলো নিয়ে শিশুদের কখনোই ঠাট্টা করবেন না

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

১১ জুন ২০২৪, ০১:১২ এএম । আপডেটঃ ১১ জুন ২০২৪, ০১:১৪ এএম

শিশুদের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে কখনোই ঠাট্টা করা উচিত নয়। কারণ এসব বিষয় তাদের মানসিক এবং আবেগগত বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো যেগুলো নিয়ে শিশুদের সঙ্গে ঠাট্টা না করাই ভালো:


১. শারীরিক চেহারা

শিশুদের চেহারা নিয়ে কোনোরকম নেতিবাচক মন্তব্য বা ঠাট্টা করা উচিত নয়। শিশুর ওজন, উচ্চতা, ত্বকের রঙ বা অন্য কোনো শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে ঠাট্টা করা তাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত করতে পারে। তারা নিজের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে খাওয়া-দাওয়া এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে।


২. শেখার দক্ষতা

শিশুরা যেভাবে শেখে, তা নিয়ে ঠাট্টা করা উচিত নয়। পড়াশোনার গতি, শেখার ধরন, স্কুলের গ্রেড বা একাডেমিক পারফরম্যান্স নিয়ে ঠাট্টা করলে তারা হীনমন্যতায় ভুগতে পারে এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারাতে পারে। এতে তারা পড়াশোনা নিয়ে চাপ বা উদ্বেগ অনুভব করতে পারে। তাদের শেখার আগ্রহ এবং আত্মবিশ্বাস কমাতে পারে।


৩. আবেগ এবং অনুভূতি

শিশুদের আবেগ এবং অনুভূতিকে হালকাভাবে নেওয়া বা উপহাস করা উচিত নয়। এটি তাদের আবেগগত বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে এবং তারা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে ভয় পেতে পারে। শিশুর আবেগ এবং অনুভূতিকে উপহাস করা তাদের আবেগ প্রকাশের সাহস কমিয়ে দিতে পারে। তারা নিজেদের আবেগ এবং অনুভূতি চেপে রাখতে শিখতে পারে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


৪. পারিবারিক বা ব্যক্তিগত সমস্যা

পরিবারের কোনো সমস্যা বা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা উচিত নয়। এতে দের মনোবল ভেঙে যেতে পারে এবং পরিবারের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে। পারিবারিক সমস্যার বা ব্যক্তিগত জীবনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করলে শিশুরা পারিবারিক বিষয় নিয়ে লজ্জা বা হীনমন্যতায় ভুগতে পারে এবং সামাজিক মেলামেশায় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।


৫. শখ এবং আগ্রহ

শিশুর শখ বা আগ্রহ নিয়ে ঠাট্টা করলে শিশুরা নিজের শখ এবং আগ্রহ থেকে দূরে সরে যেতে পারে। এতে তারা নিজের শখ এবং আগ্রহ থেকে দূরে সরে যেতে পারে এবং নতুন কিছু শিখতে আগ্রহ হারাতে পারে। ফলে শিশুদের প্রতিভা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।


৬. ভাষাগত বা সাংস্কৃতিক পার্থক্য

শিশুদের ভাষাগত বা সাংস্কৃতিক পার্থক্য নিয়ে কোনো ধরনের বিদ্রূপ করা উচিত নয়। এতে শিশুরা নিজেদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ভাষা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে পারে। তারা সামাজিক মেলামেশায় সমস্যা অনুভব করতে পারে এবং নিজেদের পরিচয় নিয়ে সংকটে পড়তে পারে।


৭. কোনো বিশেষ চাহিদা বা অক্ষমতা

শিশুদের কোনো শারীরিক বা মানসিক বিশেষ চাহিদা থাকলে, তা নিয়ে ঠাট্টা করা উচিত নয়। এটি তাদের মানসিকভাবে আঘাত করতে পারে এবং তারা নিজেদের নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে পারে।


৮. সামাজিক অবস্থা বা আর্থিক পরিস্থিতি

শিশুর পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা করলে তারা সামাজিকভাবে হীনমন্যতায় ভুগতে পারে। তারা সামাজিক মেলামেশা এড়িয়ে চলতে পারে এবং নিজেদের অবস্থার প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে।


এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে ঠাট্টা না করার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক ও আবেগগত বিকাশ সুষ্ঠুভাবে ঘটানো সম্ভব। শিশুদের মানসিক এবং আবেগগত বিকাশে সঠিক সহায়তা এবং সমর্থন প্রদান করা জরুরি। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমর্থন দিয়ে আমরা তাদের সঠিকভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করতে পারি। যাতে তারা আত্মবিশ্বাসী এবং সাফল্যমণ্ডিত হতে পারে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.