পাউরুটি খাওয়া অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হলেও এতে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকিগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া গুরুত্বপূর্ণ:
উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স: পাউরুটির উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, বিশেষত সাদা পাউরুটির ক্ষেত্রে। এটি রক্তে শর্করার স্তর দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট: পাউরুটি সাধারণত পরিশোধিত ময়দা দিয়ে তৈরি হয়, যা ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান কমিয়ে দেয়। এটি খেলে দ্রুত ক্ষুধা লাগতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
গ্লুটেন সংবেদনশীলতা: অনেক পাউরুটিতে গ্লুটেন থাকে, যা গ্লুটেন সংবেদনশীলতা বা সিলিয়াক ডিজিজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সংরক্ষণকারী এবং অ্যাডিটিভস: প্রক্রিয়াজাত পাউরুটিতে অনেক সময় সংরক্ষণকারী, রং এবং স্বাদবর্ধক যোগ করা হয়, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি: অতিরিক্ত পরিমাণে পাউরুটি খেলে ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করা হতে পারে, যা ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য মেটাবলিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
নিম্ন পুষ্টিমান: সাদা পাউরুটি সাধারণত পুষ্টিহীন হয়, কারণ এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও মিনারেল হারিয়ে যায়। এতে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণও কম থাকে।
উচ্চ সোডিয়াম: প্রক্রিয়াজাত পাউরুটিতে অনেক সময় বেশি পরিমাণে লবণ যোগ করা হয়। উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমানো: প্রক্রিয়াজাত পাউরুটিতে উপস্থিত কেমিক্যাল এবং সংরক্ষণকারী পদার্থগুলো ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে।
অ্যালার্জি: কিছু মানুষের গম বা অন্য কোনো উপাদানের অ্যালার্জি থাকতে পারে, যা পাউরুটি খেলে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর বিকল্প
সম্পূর্ণ শস্যের পাউরুটি: সম্পূর্ণ শস্যের বা হোল গ্রেইন ব্রেড নির্বাচন করুন, যা ফাইবার, ভিটামিন, এবং মিনারেল সমৃদ্ধ।
কম পরিমাণে খাওয়া: পাউরুটি খাওয়া সীমিত করুন এবং ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট মেনে চলুন।
অন্যান্য শস্যের বিকল্প: বারে, ওটমিল, কুইনোয়া ইত্যাদির মতো অন্যান্য শস্যের খাবার গ্রহণ করুন।
স্প্রাউটেড গ্রেইন ব্রেড: স্প্রাউটেড গ্রেইন ব্রেড বা অঙ্কুরিত শস্যের পাওরুটি পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং সহজপাচ্য।
গ্লুটেন-ফ্রি ব্রেড: যারা গ্লুটেন সংবেদনশীল, তাদের জন্য গ্লুটেন-ফ্রি ব্রেড একটি ভালো বিকল্প। এটি রাইস ফ্লাওয়ার, আলমন্ড ফ্লাওয়ার বা অন্য গ্লুটেন-ফ্রি শস্য দিয়ে তৈরি হতে পারে।
সোয়ার ডো ব্রেড: সোয়ার ডো ব্রেড বা ফারমেন্টেড ব্রেড হজমে সহায়ক এবং এতে প্রোবায়োটিক উপাদান থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ওটমিল: সকালের নাশতায় ওটমিল খাওয়া যেতে পারে, যা ফাইবার ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ।
বিষয় : পাউরুটি স্বাস্থ্যঝুঁকি
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh