বাজারে এখন ইনভার্টার ও নন–ইভার্টার প্রযুক্তির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি (এয়ারকন্ডিশনার) পাওয়া যাচ্ছে।
ইনভার্টার প্রযুক্তিতে এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে ঘরের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে।
অন্যদিকে নন-ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শুধু অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। যখন ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়, তখন আবার চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।
ইনভার্টার এসির বড় সুবিধা হচ্ছে ইনভার্টার এসির কমপ্রেসর মোটরটি প্রয়োজনমতো নিজস্ব চলার গতি পরিবর্তন করতে পারে। ইনভার্টার এসিতে এমন একটি সেন্সর থাকে, যা ঘরের তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কমপ্রেসর পুরোপুরি বন্ধ না করে, মোটরটির চলার গতি কমিয়ে দেয়। এর কারণেই বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে, যা পরিবেশবান্ধব। কিন্তু অন্যদিকে সাধারণ এসির কমপ্রেসর বারবার চালু-বন্ধ হয়, তাই অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
বাজারে স্যামসাং, ওয়ার্লপুল, শার্প, সিঙ্গার, প্যানাসনিক, ওয়ালটন, এলজি, জেনারেল, ট্র্যান্সটেক ইত্যাদি ব্র্যান্ডের এসি বিক্রি হচ্ছে। বিদ্যুৎ খরচ কমানোর আশায় ইনভার্টার এসি কিনছেন অনেকে।