প্রচণ্ড গরমের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে কিছু নির্দেশিকা দিয়ে জনগণকে তা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইসিডিডিআরবি, বি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ)।
অতিরিক্ত গরমের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির লক্ষণগুলো হলো—
অস্বস্তি বোধ করা, ডিহাইড্রেশন, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, নিদ্রাহীন, শরীর ব্যথা, পেশি ব্যথা, খাবারের প্রতি অনীহা, ত্বকের ক্ষত, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা, হার্টের সমস্যা, হিট স্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প।
যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন—
শিশুরা, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক, নির্মাণশ্রমিক, অতিরিক্ত স্থূল ব্যক্তি, বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের মতো একাধিক জটিলতা রয়েছে।
হিট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণে করণীয়—
বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে রোদ এড়িয়ে চলুন
বাইরে বের হলে যতটা সম্ভব ছাতা, টুপি বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। বিশেষ করে সুতির তৈরি হালকা রঙের পোশাক পরা, পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা, সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং বাসি, খোলামেলা খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। দিনের বেলা একটানা ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন, একাধিকবার স্নান করুন বা সম্ভব হলে পানি ছিটিয়ে দিন, ক্রমাগত প্রস্রাবের রংয়ের দিকে নজর রাখুন, তা যদি হলুদ বা গাঢ় হয়, তাহলে পানি পানের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন, খেয়াল রাখতে হবে ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা বাষ্প না হয়, অসুস্থবোধ করলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হিট স্ট্রোকের ১০ লক্ষণ:
উপরের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণের জন্য ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তীব্র তাপপ্রবাহে সারা দেশ প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে, কোথাও কোথাও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছেছে। রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকাসহ খুলনা বিভাগ এবং রাজশাহী জেলার কিছু অংশে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।