ইডটকো বাংলাদেশ হবে দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি, যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ফাইবারগ্লাস টাওয়ার সমাধান দেবে। এফআরপি টাওয়ার তৈরিতে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তি সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে কাজ করবে ইডটকো টিমের সঙ্গে। হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার সহসভাপতি হুয়ে বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলেছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে। দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতির প্রমাণ। সাইটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতার সঙ্গে টাওয়ার অবকাঠামো শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করবে। হুয়াওয়ের উদ্ভাবন ও ইডটকোর দক্ষতার সমন্বয়ে টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক বলেন, অংশীদারিত্ব হলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধ টেলিকম অবকাঠামো মানোন্নত করার অসাধারণ সুযোগের উপস্থাপন। ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনুশীলনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত রাখার প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে আরও বেশি অবদান রাখা সম্ভব।
নতুন সল্যুশনের ফলে টাওয়ারের ওজন কমবে ৪৪ শতাংশ। বিপরীতে নির্মাণ দক্ষতা বাড়বে ৭৫ শতাংশ। সল্যুশনটি হবে দেশের জনবহুল সব এলাকার রুফটপ সাইটের আদর্শ সমাধান। সব টাওয়ার এমনভাবে নির্মাণ করা হয়, যেন রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। ফলে দক্ষ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত হয়। স্থায়িত্ব কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই হাই ভোল্টেজ সহ্য করার সক্ষমতা দেয়। টাওয়ারগুলো ইনস্টল ও পরিবহন করাও সহজ। ফলে দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। নব্য আদলের টেলিকম অবকাঠামো বাংলাদেশের উদীয়মান টাওয়ার শিল্পে যথাযথ অবদান রাখবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।