জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশে দুটি তারার চারপাশে অদ্ভুত রাসায়নিক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ লাখ মাইল দূরে থাকা তারাগুলো বয়সে বেশ তরুণ। 

ফলে তারাগুলোর আশপাশে কোনো গ্রহ না থাকলেও বেশ কিছু জটিল জৈব অণুর সন্ধান মিলেছে, যার মধ্যে ইথানলসহ ভিনেগার তৈরির উপাদানও রয়েছে। এই উপাদানগুলো ভবিষ্যতে ধূমকেতু ও গ্রহাণুর অংশ হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন তাঁরা।

লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইওয়াইন ভ্যান ডিশোইক বলেছেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে জৈব অণুগুলো পর্যবেক্ষণ করতে থাকব। এসব অণু ধূমকেতু ও গ্রহাণুর অংশ হয়ে উঠতে পারে। ইথানল ছাড়াও ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারাগুলোর চারপাশে ফরমিক অ্যাসিড, মিথেন ও অ্যাসিটিক অ্যাসিড শনাক্ত করা হয়েছে। এসব রাসায়নিক উপাদানকে বাসযোগ্য বিশ্ব তৈরির মূল উপাদান বলা যায়। একটি বাসযোগ্য গ্রহ বলতে সেখানে প্রাণ থাকবে এমনটি বোঝায় না। প্রাণ টিকে থাকতে পারে বা বাস করতে পারে, তা বোঝানো হয়।’

জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে স্পেকট্রোমিটার নামের একটি যন্ত্র রয়েছে। যন্ত্রটি প্রিজমের মতো আলো আলাদা করতে পারে। বিভিন্ন উপাদান বা অণু বিভিন্ন ধরনের আলো শোষণ করায় ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে আলো বিশ্লেষণ করে রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। 

মহাকাশে নতুন রাসায়নিক উপাদানের সন্ধান পাওয়ার তথ্য অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।