শীত কমতেই আবহাওয়ায় এক বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। তাই অনেকেরই বেড়েছে চুল পড়ার সমস্যা। এদিকে স্ক্যাল্পে চুলকানি ও অন্যান্য সংক্রমণ তো রয়েইছে। আর এসব সমস্যা সমাধান করতেই এসেনশিয়াল অয়েল একাই একশো। তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন সেসব এসেনশিয়াল অয়েলের নাম।
চুলের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেনশিয়াল অয়েল। তাই তো সাম্প্রতিক সময়ে বিউটি ওয়ার্ল্ডেও এসব প্রাকৃতিক তেলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এই ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য তো করেই, সেই সঙ্গে চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এসেনশিয়াল অয়েল কী?
ফুল, বীজ কিংবা গাছের অন্য় কোনও অংশ থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে বের করা হয় প্রাকৃতিক নির্যাস। তা থেকেই তৈরি করা হয় এই এসেনশিয়াল অয়েল। আর এগুলোর গুণগত মান প্রচুর। তাছাড়া প্রতিটি এসেনশিয়াল অয়েলের সুগন্ধ সবাইকে মোহিত করে।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়, যেগুলো আপনার স্ক্যাল্পের অন্দরে ফ্রিব়্যাডিকালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা কমায়। ফলে চুলের সৌন্দর্য বজায় থাকে আর স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য়ও থাকে অটুট।
টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান পাওয়া যায়, যা আপনার স্ক্যাল্পের সংক্রমণ সারাতে সাহায্য করে। তাই এই বসন্তে স্ক্যাল্পে কোনও জ্বালাভাব বা চুলকানি দেখা দিলে অবশ্যই ব্যবহার করুন টি ট্রি অয়েল। তাছাড়া এই তেল আপনার চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
রোজমেরি অয়েল
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এই এসেনশিয়াল অয়েল। রোজমেরির পাতার নির্যাস থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা এসেনশিয়াল অয়েল চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তাই এই বসন্তে চুল পড়ার সমস্যা কমাতে এবং ঘন চুল পেতে আপনার হেয়ার কেয়ার রুটিনে অবশ্যই ব্যবহার করুন এই এসেনশিয়াল অয়েল।
এসেনশিয়াল ওয়েল ব্যবহারে মানুন এসব নিয়ম
এসেনশিয়াল অয়েল কখনও সরাসরি চুলে লাগানো উচিত নয়। তাতে লাভ তো হবেই না, উল্টে ক্ষতির আশঙ্কাই বাড়বে। এক্ষেত্রে একটি পাত্রে পরিমাণ মতো নারকেল তেল নিন। তার সঙ্গে যোগ করুন কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল। এই দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে আপনার স্ক্যাল্পে লাগান। ১০ মিনিট মাসাজ করুন এবং ১ ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন।