ঘাম হওয়া মানুষের জীবনে স্বাভাবিক ব্যাপার। এটি কোনো অসুখ নয়। তবে অতিরিক্ত ঘাম নিয়ে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন। দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ঘাম হওয়াকে চিকিৎসা-বিজ্ঞানে ‘হাইপারহাইড্রোসিস’ বলা হয়।
শরীরের পাশাপাশি দেহের নির্দিষ্ট জায়গাতেও এরকম হতে পারে। যেমন- হাত ও পায়ের তালু। এতে করে প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ যেমন লেখালেখি, মোবাইল-কম্পিউটার চালানোতে অসুবিধা হয়। কেডস, বুট বা স্নিকার্স পরলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটি শীতকালে বেশি দেখা যায়। তবে গরমেও হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের কিছু ঘরোয়া উপায় আছে:
পানি
পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে। ফলে ঘাম নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হাত ও পায়ের তালুর ঘাম রোধে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত বিরতিতে হাত ও পা ধোয়ার চেষ্টা করুন।
গোলাপজল
ঘাম প্রতিরোধে গোলাপজল অত্যন্ত কার্যকর। এ ক্ষেত্রে বাজার থেকে কেনা কিংবা ঘরে বানানো উভয় গোলাপজলই ব্যবহার করা যাবে। প্রতিদিন অন্তত তিনবার তুলা বা সুতি কাপড়ের সাহায্যে হাত ও পায়ের তালুতে গোলাপজল ম্যাসাজ করতে পারেন।
ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ভিজিয়ে রাখা
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ব্ল্যাক টি’তে হাত ও পা ডুবিয়ে রাখা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এতে থাকা ট্যানিন প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিজান্ট’য়ের প্রভাব রাখে যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে।
বেকিং সোডা
হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধে অন্যতম ঘরোয়া উপায় হলো বেকিং সোডা। প্রথমে এক বোল কুসুম গরম পানি নিন। এতে দুই থেকে তিন চামচ বেকিং সোডা মেশান। সোডা মিশ্রিত পানিতে অন্তত ৩০ মিনিট হাত ও পা ডুবিয়ে রাখুন। পরে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। এতে ঘামের সমস্যায় উপকার পাওয়া যাবে।
লেবুর রস
অ্যাস্ট্রিজান্ট উপাদান সমৃদ্ধ যা অতিরিক্ত ঘাম কমাতে সহায়তা করে। তাজা লেবুর রস হাতের তালুতে ঘষে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
কর্পূর
সামান্য গরম পানিতে কর্পূর গুলে হাত ও পা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। কর্পূর শীতলকারক উপাদান যা ঘাম কমাতে সহায়তা করে। এছাড়াও কর্পূরের গুঁড়ার সাথে ট্যালকম পাউডার বা নারিকেল তেল মিশিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহার করা যায়। সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল আসে। ক্রমাগত হাত ও পা ঘামা খুবই বিরক্তিকর বিষয়। তবে সঠিকভাবে খেয়াল রাখলে আর সতর্ক হলে এর প্রকোপ অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়।
বিষয় : হাত-পা ঘাম হওয়া বেকিং সোডা লেবুর রস
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
