অনেকেই কারনে অকারনে রাত জাগেন। কেউ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন, কেউ বা মুভি দেখে সময় কাটান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,দিনের পর দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা শরীর ও মনের দীর্ঘস্থায়ীভাবে ক্ষতি করতে পারে। প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত ঘুমালে শরীরে যেসব সমস্যা দেখা যায় তা জানানো হয়েছে ‘ইন্ডিয়া টিভি’র এক প্রতিবেদনে।
ঘুমের চক্র ব্যাহত :মানুষ স্বাভাবিকভাবেই সার্কাডিয়ান ছন্দের সাথে যুক্ত। শরীরের ভিতরে যে অভ্যন্তরীণ ঘড়ি থাকে তার উপর ভিত্তি করে ঘুম এবং জাগার চক্র নিয়ন্ত্রণ হয়। আপনি যখন একটানা ঘুমান, এই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটান তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর সতেজ বোধ করে না। ঘুম ঠিকমতো না হলে সারাদিন ক্লান্ত, খিটখিটে এবং অলস লাগে।
দুর্বল ইমিউন সিস্টেম:শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গভীর ঘুম আপনার শরীরে সাইটোকাইনস, প্রোটিন তৈরি করে যা সংক্রমণ এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ঘুম না হলে সাইটোকাইন উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা আপনাকে সর্দি, ফ্লু এবং অন্যান্য অসুস্থতার জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে লেপটিন এবং ঘেরলিনসহ বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তখন ক্ষুধার প্রবণতা বেড়ে যায়। তখন অস্বাস্থ্যকর, উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবারের আগ্রহ সৃষ্টি করে। হরমোনের এই ভারসাম্যহীনতা সময়ের সাথে সাথে ওজন বাড়ায়।
মনোযোগে সমস্যা : স্মৃতিকে একত্রিত করতে, নতুন তথ্য জানতে ঘুম অপরিহার্য। ঘুম ভালো না হলে মস্তিষ্কর কার্যকারিতা কমে যায়, মনোযোগে সমস্যা হয়।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে: দীর্ঘদিন ধরে ঘুমের সমস্যা হলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।