আমরা সবাই যার যার অফিসে নিজেকে একটি ভালো অবস্থানে দেখতে চাই। নিজের সম্পর্কে সবার মনে ভালো ধারণা তৈরি করতে এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে চাই। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই জানি সেজন্য কী প্রয়োজন যেমন সময়মতো উপস্থিত হওয়া, পূর্ণ সময় অফিস করা এবং বস ও সহকর্মীদের সম্মান করা, এতে অফিসে আপনার একটি ইতিবাচক ইমেজ এমনিতেই তৈরি হয়ে যাবে। তবে এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো অফিসে করা যাবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অনেক বেশি কাজ গ্রহণ করা
মাল্টি-টাস্কিং একটি দুর্দান্ত দক্ষতা। এভাবে কাজ করাটা বসের মন জয় করার একটি ভালো উপায় হতে পারে, কিন্তু ক্রমাগত অতিরিক্ত কাজ করা একটি বড় ত্রুটি হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার কাজের গুণমান এবং সামগ্রিক কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আপনি যদি একই সময়ে অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কাজ করেন তবে কোনগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন এবং কোন বিষয়ে ফোকাস করবেন তা নির্ধারণ করা কঠিন হতে পারে। তাই নিজের সময় এবং সামর্থ্য বুঝে কাজ নিন। আপনি যদি অনেক বেশি কাজ গ্রহণ করে ফেলেন বা অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন তবে বসের সঙ্গে আলাপ করে আপনার অপারগতার বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।
নেতিবাচক মনোভাব থাকা
কাজের বিষয়ে অভিযোগ করা এবং কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচকতা নিয়ে আসা আরেকটি বড় ভুল। এটি ক্ষতিকর পরিবেশ তৈরি করে এবং এটি অত্যন্ত অ-পেশাদার। এমনকী আপনি যদি আপনার কাজ বা বসকে অপছন্দ করেন, তবে প্রকাশ্যে অভিযোগ না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্র, অনানুষ্ঠানিক কাজের ইভেন্ট কিংবা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কথা প্রকাশ করবেন না।
আপনি যদি অফিসের কাজ নিয়ে সত্যিই অসন্তুষ্ট থাকেন তবে তা মোকাবিলা করার একটি ভালো উপায় হলো, আপনার কাজের কোন অংশে খুশি নন তা খুঁজে বের করা। যাতে আপনি চেষ্টা করে পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারেন। তারপরে আপনি আপনার বসের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তিনি আপনাকে ভিন্ন প্রজেক্ট বা কাজে নিয়োগ দিতে পারেন, যেটি করতে আপনি বেশি স্বচ্ছন্দ।
সুযোগ গ্রহণ না করা
আপনি যদি কর্মজীবনে অগ্রগতি করতে চান, তাহলে যেকোনো সুযোগ আসা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আকর্ষণীয় কোনো অফার পান তবে সেই সুযোগ গ্রহণ করা উচিত। অনেকে কেবল চাকরি নিয়েই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে এবং আর কোনো বিকল্প রাখে না। আপনি যদি কেবল চাকরি করতেই ভালোবাসেন তবুও নিজের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা ভালো। কোনো সুযোগ পাওয়ার পর যদি উপেক্ষা করেন বা দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন, তবে সেই সুযোগ হারিয়ে যেতে পারে।
গল্প করবেন না
অফিসে আরেকটি ভুল হলো গল্পে মশগুল হওয়া। যদিও এটি লোভনীয় হতে পারে (বিশেষ করে যদি আপনার সহকর্মীরা এটি করে থাকে), তবে এতে জড়িত না হওয়াই ভালো। আপনার সহকর্মীদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা এড়িয়ে চলুন। কারণ এই অভ্যাসের কারণে আপনি পরবর্তীতে গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন।
মানুষের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। গসিপিং আপনাকে অবিশ্বস্ত করে তুলবে। যা কর্মক্ষেত্রে আপনার অগ্রগতিকে বাধা দিতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি নেতৃত্বের অবস্থানে থাকেন বা ভবিষ্যতে একজন হতে চান। সেইসঙ্গে গসিপ কাজের পরিবেশ নেতিবাচক করে তোলে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, গসিপের ফলে কর্মীদের মধ্যে অসুখ বাড়াতে পারে এবং এটি উৎপাদনশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
কর্মজীবনে ভারসাম্য না থাকা
কঠোর পরিশ্রম করা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখতে জানতে হবে। অন্যথায়, আপনি বার্নআউট অনুভব করতে শুরু করতে পারেন যা আপনার কর্মক্ষমতা প্রভাবিত করবে। শতভাগ সময় অফিসের কাজের ওপর ফোকাস করার পরিবর্তে অন্যান্য কাজের জন্যও কিছু সময় রাখুন। টানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিন। চেয়ার ছেড়ে উঠে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এর ফলে আপনি কম চাপে থাকবেন এবং কাজও সহজ হয়ে যাবে। ছুটির দিনে বাড়তি কাজের চাপ নেবেন না। নিজেকেও সময় দিন। সবকিছুতে ভারসাম্য বজায় রাখুন।
বিষয় : অফিস কর্মজীবন নেতিবাচকতা ফোকাস
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh