× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বইমেলায় ছোটদের জন্য যা থাকছে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১২ এএম । আপডেটঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৩ এএম

ফাইল ছবি

গতকাল থেকে শুরু হওয়া এবারের মেলা প্রথম দিনেই জমে উঠেছে। ছোট্ট বন্ধুরা, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই যে বইমেলা শুরু হয়, সেটা বেশ ভালোই জানো তোমরা। রাজ্যের পিচ্চিকাচ্চি প্রথম দিন থেকেই মেলায় ভিড় জমিয়েছে। কেউ কেউ তো মেলার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে নতুন বইয়ের ঘ্রাণ নেওয়াও শুরু করে দিয়েছে। এই ঘ্রাণ নেওয়ার অভ্যাস কিন্তু ভালো! 

বলি, যাদের এই রোগটা আছে, তারাসহ সবাই কিন্তু মেলায় বড়দের সঙ্গে যাবে। সাহস করে আবার একাকি মেলার পথ ধরো না। আর মেলার ভিড়ে ভুলে কেউ বাবা-মা কিংবা ভাইয়া-আপুদের হাত ছেড়ে যদি হারিয়ে যাও, তাতে চিন্তার কিছু নেই। তোমরা তো অনেক বুদ্ধিমান। হারিয়ে যাওয়ার পর বুদ্ধি করে সোজা মেলার তথ্য কেন্দ্রে গিয়ে হাজির হবে। তারপর সেখানে যে লোকটা মাইক্রোফোন হাতে বকবক করে, তার হাত থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে বলবে, 

‘আমি অমুক (এখানে নিজের নামটাই বলবে), আমি ঠিকই আছি, কিন্তু আমার আব্বুটা হারিয়ে গেছে! আব্বু তুমি যেখানে থাকো, সোজা তথ্যকেন্দ্রে চলে আসো।’  

আর শোনো, মেলায় মাস্ক পরে যাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি ইচ্ছে না হয়, পুরো মেলা ঘোরার দরকার নেই। তোমাদের জন্য মেলায় ‘শিশু চত্বর’ নামে আলাদা কর্নার তো আছেই। সেখানেই পেয়ে যাবে প্রিয় লেখকের পছন্দের বই। 

আর আজকের মতো প্রতি শুক্রবার কেবল তোমাদের জন্যই! মানে মেলায় প্রতি শুক্রবার থাকবে শিশু প্রহর। তাই বেলা ১১টার মধ্যে বড় কাউকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় চলে যাবে। 

মেলা থেকে কেনা তোমাদের প্রিয় লেখকদের বই পড়ে আমাদের জানিও কেমন লাগলো। আর আমরা নিয়মিত তোমাদের খোঁজ দেবো- প্রিয় লেখকের সেরা বইয়ের। 

চলো এবারের মেলা সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জেনে নিই 

২০২৪ সালের বইমেলা হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। 

৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এবার বইমেলায় মেট্রোরেলেও যাতায়াত করতে পারবে।

টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৮টি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রাখা হয়েছে।

মেলায় পাবে খাবারের স্টল। এই খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। 

নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবাও রাখা হয়েছে মেলায়। 

তোমাদের জন্য শিশু চত্বরকে রাখা হয়েছে মন্দির-গেইটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে। 

২০২৪ সাল লিপইয়ার বা অধিবর্ষ। ফলে মেলার মাস ফেব্রুয়ারি পাবে ২৯ দিন। 

ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না।

ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। 

প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে।

প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮ টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে তোমাদের জন্য চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে। 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। 

বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ শতাংশ কমিশনে বই কিনতে পারবে। 

তো আর দেরি কেন বন্ধুরা। প্রস্তুতি নাও। নেমে পড়ো মেলার পথে...।

 

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.