ঔষধি গুণ সম্পন্ন কালোজিরার রয়েছে দারুণ সব উপকারিতা। মানুষ প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে খাবারের সঙ্গে ‘কালোজিরা’ খেয়ে আসছে। কালোজিরা ও এর তেল বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়। এতে থাকা থাইমোকুইনন, নাইজেলেডিন ও আলফা-হেডেরিন নামের বায়োঅ্যাক্টিভ যৌগগুলো আমাদের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। উপকারী কালোজিরাতে রয়েছে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। জেনে নিন কালোজিরার উপকারিতা সম্পর্কে।
আসুন জেনে নেই কলোজিরার কিছু গুণাগুণ সম্পর্কে-
*কালোজিরায় থাকা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
* কালোজিরার তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* কালোজিরায় থাকা অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। এ উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ হতে বাধা দেয়।
* এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। যারা মোটা হতে চান, তাদের জন্য কালোজিরা উপকারী পথ্য।
* চুল পড়া কমাতে ও ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কালোজিরার তেলের তুলনা হয় না।
* দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালোজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে। জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
*বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালোজিরা খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে সাহায্য করে।
*ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় কালোজিরা।
*বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে কালোজিরা।
*নিয়মিত কালোজিরা খেলে ভালো থাকবে লিভার।
*রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে কালোজিরা।
*কালোজিরাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি দূর করতে পারে এটি। আবার কালোজিরার তেল ইনহেলেশন অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও কাজে দেয়।
*কালোজিরায় থাকা ক্যালসিয়াম ও আয়রন হাড় শক্ত করতে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
*এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। এছাড়া তুলসী পাতার রসের সঙ্গে মধু ও কালোজিরা মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা,জ্বর, সর্দি, কাশি কমে যায়।