বর্তমান সময়ে ছোট বড় সকলের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি নেশাতে পরিনত হয়েছে। ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে চোখ না বুলালে ভালো লাগে না অনেকেরই। হোয়াটসঅ্যাপে কত মেসেজ এসে পড়ে রয়েছে, সেটা দেখার জন্য মরিয়া থাকেন। আবার ইনস্টা-টুইটারেও চোখ বুলাতে হয়। অনেক সময় দিনের কতটা সময় এভাবে সামাজিক মাধ্যমে নষ্ট হয় তার হিসেব থাকে না ।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের 'নেশা' কাটাতে মাঝেমধ্যে সেখান থেকে বিরতি নিতে চান। সেক্ষেত্রে প্রথমেই নিজের কাছে স্পষ্ট হোন ঠিক কী কারণে এই বিরতি। মানসিক চাপ কমানো নাকি কাজের মানোন্নয়ন, নাকি মানসিক স্বাস্থ্য, কী কারণে এই 'ব্রেক' সে সম্পর্কে স্পষ্ট হয়েই এগোন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আড়াল ছেড়ে সামনাসামনি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারলে ভালো হয়। জীবনের ব্যস্ততা কমবে না। তার মধ্যে যতটা সম্ভব, প্রিয়জনদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে কথা বলুন। তাতে ভার্চুয়াল দুনিয়ার ভুল বোঝাবুঝিও কম হয়, বাস্তবের বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সখ্যতাও তৈরি হবে।
যা করবেন-
১. আপনি যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নিচ্ছেন, সে কথা একবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিতদের জানিয়ে দিতে পারলে ভালো। সেক্ষেত্রে তারা আপনাকে প্রত্যেক দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যাশা করবেন না। বোঝাবুঝি পরিষ্কার থাকবে।
২. ঠিক কতদিনের জন্য এই বিরতি নিতে চাইছেন সেটা নিজের কাছে স্পষ্ট থাকা দরকার। কয়েক দিন, মাস, নাকি বছর, ঠিক কতটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আলাদা থাকতে চাইছেন, এ সম্পর্কে নিজের কাছে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার।
৩. যে কোনও অভ্যাস বন্ধ করতে হলে, সে জায়গায় কোনও বিকল্প দরকার। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটানো বন্ধ করলে যে সময়টা পাবেন, তখন অন্য কোনও কাজে মন দিতে পারেন। বাগানের পরিচর্যা, ছবি-আঁকা, গান শেখা, বই পড়া--অনেক কিছুই করা যেতে পারে ওই সময়টায়।
৪. যে অ্যাপের কারণে এত আসক্তি, সেগুলি ধীরে ধীরে মোবাইল থেকে 'আনইনস্টল' করুন। একবার আনইনস্টল করে ফেললে অ্যাপটি ব্যবহার করা সামান্য হলেও কঠিন হয়ে উঠবে। তাতে সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমের ব্যবহার কমবে।