× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ফাইভ-জি যুগে বাংলাদেশ: কতটা সুবিধা পাবেন গ্রাহক?

ন্যাশনাল ট্রিবিউন ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৭ পিএম । আপডেটঃ ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:১৮ পিএম

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি, ফাইভ-জি'র যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি একযোগে দেশের সকল বিভাগীয় শহরে তাদের গ্রাহকদের জন্য এই প্রযুক্তি উন্মুক্ত করেছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এক ভিডিও বার্তায় জানান, তারা দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে সব বিভাগীয় শহরে ফাইভ-জি চালু করেছেন। একই দিনে রবির পক্ষ থেকেও ফাইভ-জি চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। বিটিআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় ২০ কোটিরও বেশি মোবাইল গ্রাহক রয়েছেন, যাদের একটি বিশাল অংশ এখন ফাইভ-জি সেবার আওতায় চলে এসেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে জেনে নেওয়া যাক ফাইভ-জি কী এবং এর সুবিধাগুলো কী কী।

ফাইভ-জি (5G) হলো মোবাইল ইন্টারনেটের পঞ্চম প্রজন্ম। এটি শুধু উচ্চ গতির ইন্টারনেটই নয়, বরং আরও বৃহত্তর পরিসরে ডেটা আদান-প্রদান নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে রেডিও তরঙ্গের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব, যা একই সময়ে এবং একই স্থানে বহু সংখ্যক ব্যবহারকারীকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দেয়। ফাইভ-জি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবটিক্স, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে, যা স্মার্ট শহর ও স্মার্ট ফ্যাক্টরির মতো ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।


বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ফাইভ-জি গ্রাহক তার দৈনন্দিন জীবনের অন্তত ৮ থেকে ১০টি ক্ষেত্রে এর থেকে সুবিধা পাবেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সুবিধা নিচে তুলে ধরা হলো:

  • দ্রুত গতির ইন্টারনেট: ফাইভ-জি'র সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর উচ্চ গতির ইন্টারনেট। এটি দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার এবং লো-ল্যাটেন্সি সুবিধা দেয়, যা ভিডিও স্ট্রিমিং ও অনলাইন গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ বদলে দেবে।
  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: ফাইভ-জি কানেকশন শিক্ষা খাতে ভার্চুয়াল কার্যক্রমকে আরও সহজ করবে। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এটি টেলিমেডিসিন এবং দূরবর্তী রোবটিক অস্ত্রোপচারে সহায়তা করবে। এআই নির্ভর ডায়াগনোসিস ব্যবহার করে দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়ও সম্ভব হবে।
  • শিল্প ও কৃষি: ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে কারখানায় রোবট নিয়ন্ত্রণ আরও নির্ভুল ও দ্রুত হবে। কৃষিক্ষেত্রে ফসলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ, কীটনাশক ছিটানো এবং মাঠ পর্যবেক্ষণে ফাইভ-জি ব্যবহার করে ড্রোন চালানো যাবে।
  • যানবাহন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা: স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট এবং স্বয়ংক্রিয় যানবাহন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে। উন্নত সিসিটিভি ও নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে গণপরিবহনে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সহজ হবে।
  • ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত: ফাইভ-জি দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন করতে এবং গ্রাহকদের রিয়েল-টাইম ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দ্রুত সেবা দিতে সাহায্য করবে। এআই-এর সহায়তায় প্রতারকদের চিহ্নিত করাও সহজ হবে।
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: রিয়েল-টাইম ডেটা ব্যবহার করে ভূমিকম্প বা বন্যার মতো দুর্যোগের সময় দ্রুত সতর্কবার্তা পৌঁছে দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।

ফাইভ-জি শুধুমাত্র দ্রুত গতির ইন্টারনেটই নয়, বরং আমাদের জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.