করোনাকালে অনেকেই শিখেছেন কীভাবে ঘরে বসে আয় করা যায়। বিশেষ করে তখন থেকে নারীর মধ্যে এ তৎপরতা বেড়েছে। যারা একসময় বাইরে চাকরি করতেন, তাদের অনেকেই ঘরে বসে আয়ের দিকে ঝুঁকেছেন। লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন, যার ফলে সফটওয়্যার, আইটি, অনলাইন, ভার্চুয়াল এডুকেশন, অ্যাপ্লিকেশনস– এসবের চাহিদা বেড়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে জুম কোটি কোটি মানুষের বিশ্বস্ত অ্যাপ্লিকেশনে পরিণত হয়েছে।
ইংরেজিতে একটি প্রবাদই আছে– এভরি ক্রাইসিস কাম উইথ অ্যান অপরচুনিটি। মানে প্রতিটি সংকটের মুহূর্তই একটি সুযোগ সঙ্গে নিয়ে আসে।
অনেকেই আছেন সন্তান লালনপালন করতে গিয়ে নিজের অনেক শখ পূরণ করতে পারেননি। এদের অনেকেই হয়তো পড়াশোনায় ভালো ছিলেন, কেউ বা গান-বাজনায়, ছবি আঁকায়, কেউ আবার যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইন, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছেন। চাইলে তারাও এসব গুণাগুণ কাজে লাগিয়ে আজকের তরুণ-তরুণীদের মতো বাড়িতে বসেই উপার্জন করতে পারেন।
চলুন কী করবেন তা জেনে নিন:-
টিউশন ক্লাসেস: কোচিং ক্লাসের ব্যবসা অনেক দিন ধরেই একটা জায়গা দখল করে আছে। হাতে সময় থাকলে বাড়িতে বসেই পড়াতে পারেন। অনলাইন ক্লাস কীভাবে নিতে হয় নিজে একটু শিখে নিয়ে অলনাইনেই শুরু করে দিতে পারেন কোচিং। সব বিষয় যেমন পড়ানো যাবে, তেমনি নিজে যে বিষয়ে দক্ষ শুধু সেই বিষয়টি নিয়ে শুরু করতে পারেন। প্রথমে তিন-চারটি ফ্রি ক্লাস করান, যাতে শিক্ষার্থীরাও আপনার জ্ঞানের ভান্ডার এবং পড়ানোর ক্ষমতার একটি ছবি মনের মধ্যে এঁকে নিতে পারেন।
বেকিং শেখানোর ক্লাস: শুধু জন্মদিন নয়, এখন বিয়েবার্ষিকী, নবজাতকের ওয়েলকাম পার্টি, উৎসব-অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটা একটা চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে কেক, পেস্ট্রি, প্যাটিস এবং বেকিংয়ের নানা আইটেম দারুণ পছন্দের খাবার। নিজের যদি বেকিং জানা থাকে, তাহলে যারা শিখতে ইচ্ছুক, বাড়িতে বসেই গ্রুপ বানিয়ে তাদের এই রন্ধনশৈলীর প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এতে ভালো রোজগার হবে। এ ছাড়া নিজেই এগুলো বানিয়ে বাইরে বিক্রি করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পরিকল্পকদের প্রচুর অর্থ দেওয়া হয় তাদের ব্র্যান্ড প্রচার করার জন্য। বিভিন্ন পোস্ট তৈরি, ভিডিওর মাধ্যমে ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করে তা ভাইরাল করতে পারলে অর্থ উপার্জন করা যায়।
পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট: হতাশা দূর করতে কাউন্সেলিং করার গুণ যদি আপনার থাকে এবং কথার দ্বারা যদি আপনি অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে অন্যদের পার্সোনালিটি ডেভেলপ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করতে পারেন। নিজে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন।
ফিটনেস ট্রেনিং: অধিকাংশ লোক এখন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ এবং সচেতন। এ কারণে জীবনের সঙ্গে জিম, যোগ, অ্যারোবিক্স, জুম্বা ইত্যাদি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আপনার যদি এসব ব্যাপারে দক্ষতা থাকে, তাহলে জুম মিটের মতো অ্যাপসের সাহায্যে বাড়িতে বসেই ফিটনেস ট্রেনিং দিতে পারেন।
অনলাইন ব্যবসা: আজকাল অনেকেই অনলাইন ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন। এ ব্যবসা শুরু করতে সোশ্যাল মিডিয়া যেমন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের সাহায্যে নিজের পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে খবরটা পৌঁছে দিন। তাদের অনুরোধ করুন আপনার এই ব্যবসা শুরু করার খবরটা তাদের পরিচিতদের কাছে ফরওয়ার্ড করতে, যাতে আপনি ভালো সাড়া পান। এর ফলে আপনি বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী থেকে শুরু করে অজানা ব্যক্তিদের কাছেও পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ব্লগিং: ঘরে বসে আয় করার আরেকটি উপায় হচ্ছে ব্লগিং। আজকাল অনেকেই নিজেদের দৈনন্দিন কাজ, রান্নাবান্না, ভ্রমণ নিয়ে ভিডিও করে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করছেন। সেখান থেকে আয়ও করছেন। একটু ইউনিক কিছু করতে পারলে ব্লগিং থেকে ভালো আয় করতে পারবেন। v
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh