পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে
চুলে যত্নে নানান রকম প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের কথা অনেকেই জানেন। তবে পেঁয়াজের পানিও যে চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে পারে।
এছাড়া মজবুত করার সাথে চুলের বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা
পদ্ধতি হল, পেঁয়াজের টুকরা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফলে পেঁয়াজের রস পানিতে মিশবে, যা সালফার, ফ্লাভানয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্ক সিটি’র ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. ব্রেন্ডান ক্যাম্প বলেন, “বলা হয়ে থাকে- মাথার ত্বক ও ফলিকলস স্বাস্থ্যকর রাখার মাধ্যমে চুলের সার্বিক উন্নতিতে সাহায্য করে পেঁয়াজের পানি বা রস।”
লাস ভেগাস’য়ের আরেক ত্বক-বিশেষজ্ঞ ক্যান্ডেস স্প্যান একই প্রতিবেদনে বলেন, “পেঁয়াজের পানিতে থাকা সালফেট মাথার ত্বকের সমস্যা কমায়, চুলকানিতে আরাম দেয় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।”
এই পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ২০০২ সালে ‘ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটা’র গবেষকরা দাবি করেন, মাথায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির মাধ্যমে পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
আর ‘কুয়ের্সেটিন’ নামক ফ্লাভানয়েডস রয়েছে পেঁয়াজে। এটা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তবে হরমোনে কোনো প্রভাব ফেলে না।
“তাই পেঁয়াজের পানি বা রস যে জাদুর মতো কাজ করে মাথা ভর্তি চুল তৈরি করবে সেটাও আবার ঠিক না”- মন্তব্য করেন ডা. ক্যাম্প।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
‘নিজে করি’ ধরনের যে কোনো রূপচর্চার পদ্ধতিতে ঝুঁকে থেকেই যায়। কারণ বাজারে যেসব প্রসাধনী পাওয়া যায় সেগুলোতে সঠিক মাত্রায় সংরক্ষক ও সংক্রমণ না হওয়ার জন্য নানান উপাদান দেওয়া থাকে।
তবে বাসায় তৈরি রূপচর্চার উপাদানে সেসব রাখা সম্ভব হয় না।
এই তথ্য জানিয়ে মার্কিন চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন নাথান নিউম্যান বলেন, “সাধারণত ঘরে তৈরি পণ্য একটু বেশি ঘন হয় যে কারণে ত্বকে অস্বস্তি, লালচেভাব চুলকানি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।”
এছাড়া পেঁয়াজের রস কারও কারও চুলের রং পরিবর্তন করে দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের চুলের রং গাঢ় না।
নিউম্যান জানান, পেঁয়াজর রসের প্রভাবে চুলের রং অস্থায়ীভাবে হলদে হয়ে যেতে পারে।
যেসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত
পেঁয়াজের উপাদান দিয়ে তৈরি নানান ধরনের রূপচর্চার পণ্য বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এগুলো অন্যান্য উপাদানও দেওয়া থাকে যা চুলের যত্নে উপকারী।
তাই নিজে তৈরি না করে এসব পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকরা।
ডা. স্প্যাম বলেন, “তবে চুল পড়ার সমস্যায় বেশি ভুগলে ‘মিনোক্সিডিল’ বা ‘ফিনাস্টেরাইড’ সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এগুলো নিয়ে নানান গবেষণায় চুলের যত্নে ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছে।”
আর চুল পড়ার সমস্যা ভুগতে থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন ডা. নিউম্যান।
“চুলের সমস্যায় ত্বক-বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করলে আসল সমস্যা উদ্ধার করা যায়। ফলে সেই হিসেবে চিকিৎসা নিলে উপকার মেলে” বলেন এই চিকিৎসক।
বিষয় : সাজসজ্জা লাইফস্টাইল
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh