রোববার বিকালে হঠাৎই কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে এই কম্পন অনুভূত হয়। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ভবন থেকে নিচে নেমে আসেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আসামের করিমগঞ্জ থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার নিচে। ভূমিকম্পটি চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহেও বেশ ভালোভাবেই অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আকতার আজ গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলটি আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মাঝামাঝি। এটি মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার ভূমিকম্প।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাই যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
ভূমিকম্পের সময় করণীয়:
- ভূমিকম্পের সময় খোলা জায়গায় আশ্রয় নিন।
- ভবনের নিচে থাকলে দ্রুত বাইরে চলে আসুন।
- লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
- কম্পন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘরের ভেতরে থাকলে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন।
- বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন বন্ধ করে দিন।