সিনেমার পর্দায় নায়ক হয়ে তিনি নিপীড়িত, বঞ্চিত ও সাধারণ মানুষের পক্ষে লড়েছেন। প্রতিবাদের আওয়াজ তুলেছেন। তাই সাধারণ মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা ছিলো শীর্ষে। তিনি নায়ক আসলাম তালুকদার মান্না। শুধু কাজ নয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এবং এখানকার মানুষদের মন-প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসতেন এই নায়ক। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মান্না।
মৃত্যুর ১৬ বছর হলেও আজও তার স্মৃতি বুকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তার সহকর্মীরা। মান্নার মৃত্যু মানে বাংলা চলচ্চিত্রের অর্ধেকটা মৃত্যু বলে মনে করেন দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগর।
মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় মান্নার মৃত্যু সমান বাংলা চলচ্চিত্রে অর্ধেকটা মৃত্যু। তিনি যদি বেঁচে থাকছেন তাহলে এ দেশের চলচ্চিত্র অনেক সমৃদ্ধ থাকতো। আমি মান্না ভাইকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ছিলেন একজন গবেষণাধর্মী নায়ক। তিনি চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণা করতেন। এই গবেষকদের মৃত্যু মানে তো একটা অধ্যায়ের মৃত্যু। অনেক দর্শকের কাছে বলতে শুনেছি, মান্নার মৃত্যুর পর তারা সিনেমাই দেখেননি।’
বাংলা ছবির সুপারস্টার নায়ক মান্না ও দাপুটে খল-অভিনেতা মিশা সওদাগরের মধ্যে বন্ধুত্বের কথা ইন্ডাস্ট্রির কম বেশি সবারই জানা। পর্দায় তারা ছিলেন যেমন চিরশত্রু পর্দার বাইরে ছিলেন খুব ভালো বন্ধু।
মিশার কথায়, ‘আমার দুজনের সম্পর্ক ছিলো অত্যন্ত দৃঢ়। পর্দায় আমাদের ক্যামেস্টিও ছিলো দারুণ। হিরো মান্না ও আমার ডায়লগ দর্শক প্রচুর এনজয় করতো। মান্নার সঙ্গে আমার অজস্র স্মৃতি রয়েছে। পারিবারিকভাবেও আমারা ছিলাম একে অপরের পরিপূরক। শুধু এটুকু বলবো, মান্না আমাকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করতেন। এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। দু’হাত তুলে দোয়া করি, আল্লাহ যেনো তাকে ভালো রাখেন।’
প্রসঙ্গত, মান্না অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তওবা’ হলেও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার নাম ‘পাগলী’। তবে দর্শক নজরে পড়েন ১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ সিনেমাতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাড়ে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় এ সুপারস্টার।