ছবি: সংগৃহীত
চিত্রনায়িকা পরীমনি নানান কারণেই সবসময় আলোচনায় থাকেন। তারকা হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার তার।সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি সব কিছু প্রকাশ করেন। এবার দেখা গেল টিভি অনুষ্ঠানের টকশোতে পরীমনি রাজ্যকে নিয়ে এসেছেন।
বাড়িতে সহকারী আছে, বাচ্চাকে দেখার মানুষও রয়েছে। শুটিংয়ে ফিরতে মাঝরাত পেরিয়ে যাবে। তবুও সেই মাঝরাত অব্দি পরী তার রাজ্যকে নিজের কাছেই রাখবেন। তার সহকারী বা অন্যান্যদের কাছে নয়। সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু অনেকেই বলেন, রাজ্যকে নিয়ে একধরনের অতি আশঙ্কায় থাকেন পরীমনি। কথাটা কি ঠিক? পরী বলেন, ‘না। সেটা হয়তো ঠিক না। তবে আমি আজ অব্দি অন্যের হাতে রাজ্যকে খাওয়ানোটা পছন্দ করি না এবং এটা আমি মেনে নিতেও পারি না।
পরীমনির লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, সংসার বা নানান প্রসঙ্গেই বারবার এসেছে তর্ক, বিতর্ক বা সমালোচনা। এগুলোকে কীভাবে সামাল দেন পরী? যখন এই প্রতিবেদন লেখা হচ্ছে তখনও তার সন্তান রাজ্যকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়িতেই ব্যস্ত একজন মা!
পরীর ক্যারিয়ারে দুই নির্মাতার নাম এসেছে বারবার। তারা দুজন যেমন পরীমনির ক্যারিয়ারে ভীষণ সাপোর্ট করেছেন। তেমনি পরীমনির অভিনয়জীবনকেও সমৃদ্ধ করেছেন। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে যে নামটি আসে তিনি গিয়াস উদ্দিন সেলিম। আরেকজন চয়নিকা চৌধুরী। বলা হয় গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ছবিটির মাধ্যমেই পরীমনির নিজস্বতা প্রকাশ পায়। নিজের অভিনয়জীবনে একটি মাত্রা যোগ করেন তিনি। তার আগে পরীমনির ছবি বাছাই নিয়েও অনেক সমালোচনা ছিল।
পরীমনি প্রসঙ্গে গিয়াসউদ্দিন সেলিম বলেন,‘পরীকে আমি যখন স্বপ্নজালে পাই। একেবারেই ওকে আমি একজন নবাগত হিসেবেই ট্রিট করি। আমি ওকে বলি, আগের যা কাজ করেছ সব ভুলে যাও। এমনকি সেই ডেডিকেশন নিয়েই সে কাজটি করেছে।’
এরপরের অধ্যায় অনেকেই জানেন। ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সেই স্যাফল্যে চূড়া ছুঁতে না পারলেও পরীমনি তার অভিনয়ের জাত চিনিয়েছেন এই ছবির মাধ্যমেই।
পরী বলেন, ‘অভিনয়টাকে ভালোবেসেই আমি এতদূর। সবাই আমাকে হিংসে বা ঈর্ষা কেন করে, ওসব বুঝি। কারণ হলো আমার প্রতি দর্শকের কৌতূহল। আমার পেজ, আমার ফলোয়ার কেন এত বেশি? এটাই তো সবার সমস্যা। আমি যখন আনন্দবাজারে সেরা নায়িকা হিসেবে পুরস্কৃত হই, তখন যেমন কাছের দূরের মানুষ আমি চিনতে পারি—তেমনি আমার কঠিন সময়েও বুঝতে পারি কে কাছের কে দূরের।’
নিজের জীবনের এই যে নানান চড়াই উত্রাই, জীবনের অনেকগুলো ভুল। যা সমাজ দেখিয়ে দেয় বারবার। তখন কি খুব আক্ষেপ হয় আপনার ?
পরী বলেন, ‘আমার জীবনে কোনো আক্ষেপ নেই। আমি যখন যা করেছি। মন থেকে করেছি। কাউকে আঘাত দেয়া। কাউকে ঠকানোর জন্য করিনি। তাই আমার কোনো আক্ষেপ নেই। জীবন থেকেই শিখেছি। শিখছি।’
রাজের সাথে সম্পর্ক, সংসার ও বিচ্ছেদ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক চর্চা হয়েছে। এ নিয়ে পরীমনিও ফেসবুকে নানান স্ট্যাটাসে সরব ছিলেন। কেউ কেউ বলেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম চাইলে পারতেন এই সমঝোতা করতে। এ নিয়ে পরী বলেন, ‘আমি কাউকে দোষ দিতে চাই না। শুধু সবাইকে বলতে চাই। সবাই ভালো থাকুক।’
পরীমনির খুব কাছের নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘পরী আমার মেয়ে। ও আমাকে মা বলে ডাকে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো । এই বৈরী সমাজের সাথে পরী যেভাবে একা লড়ে যাচ্ছে তাতে ওকে স্যালুট দিতেই হয়। কারণ ওর সংগ্রাম আমি কাছ থেকে দেখেছি। ওর একটাই দোষ ও খুব স্পষ্টবাদী।’
পরীর নতুন বছরের পরিকল্পনাতেও ঠিক তাই। বললেন,‘ভালো কিছু গল্পে কাজ করতে চাই আমি। আমাকে যে আমার দর্শকেরা ভালোবাসে, এটাই আমার শক্তি। কারণ আমার রাজ্য আর ভক্তরা ছাড়া আপন কেউ নেই! ওদের জন্যই বাঁচবো। ওদের জন্যই ভালো ভালো কাজ করে যেতে চাই।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh