দেব-শুভশ্রীর সম্পর্কটা বিয়েতে গড়ানোর কথা ছিল। অনুরাগীরাও অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন, প্রিয় জুটির বিয়েটা দেখবেন। শুভশ্রীর পরিবারও নাকি দেবকে মেনে নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত প্রেমটা ভেঙে গেছে।
ভাঙার গল্পের আগে গড়ার গল্প আবারও শোনা যাক। দুজনের বয়স কম, একের পর এক সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন। দর্শকেরা দেব–শুভশ্রীর রসায়নে মুগ্ধ হয়ে আছেন।
২০০৯ সালে জুটির প্রথম সিনেমা ‘চ্যালেঞ্জ’, নির্মাণ করেছেন রাজ চক্রবর্তী। বলা চলে, রাজ চক্রবর্তীর আশকারায় দুজনের প্রেমের গোড়াপত্তন ঘটে। ছবিটি ব্লকবাস্টার, এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘রোমিও’ থেকে ‘খোকাবাবু’—একের পর এক সিনেমায় প্রেম করেছেন এই জুটি।
‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’ সিনেমায় কাজ করার সময় দুজনের প্রেমটা জমে ওঠে। সম্পর্কটা পারিবারিকভাবেও গড়ায়। বিয়ের আগেই সম্পর্কটা চুকে যায়।
হঠাৎ কী হয়েছিল দেব–শুভশ্রীর? মাখো মাখো প্রেমে ছেদ ঘটল কেন? দুজনের প্রেমের মধ্যে দেবের জীবনে আরেক তরুণীর আবির্ভাব ঘটে। তিনি আর কেউ নন, রুক্মিণী মৈত্র। রুক্মিণী তখনো অভিনয়ে নাম লেখাননি, মডেলিং করতেন।
রুক্মিণীর সঙ্গে দেবের সম্পর্কটা গোপন থাকে না, শুভশ্রীর কানেও যায়। এর পর থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ, প্রেমও ভেঙে যায়। ২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছে দেব–শুভশ্রী জুটির শেষ ছবি ‘খোকা ৪২০’।
প্রেম ভাঙার পর ২০১৫ সালে ‘ধূমকেতু’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন দেব-শুভশ্রী, ছবিটি প্রেমে ভরপুর। ক্যামেরার সামনে হারানো রসয়নকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন তাঁরা। দশ বছর পর ছবিটি আলোর মুখ দেখছে, এই মাসে সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে দুজনের পুরোনো প্রেম নিয়ে চর্চার শেষ নেই।
শুভশ্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা পেশাদার। ভালো চিত্রনাট্য, চরিত্র পেলে আবার একসঙ্গে কাজ করবেন। দেব একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই জন্মে না শুভশ্রী তার নাম থেকে দেবকে সরাতে পারবে, না আমি আমার নাম থেকে শুভশ্রীকে সরাতে পারব। অনস্ক্রিন জুটি হিসেবে।’
নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী জানান, তিনিও ছবি মুক্তির প্রতীক্ষায়। রুক্মিণীর কথায়, ‘আমি জানি, দেব নিজে কতখানি প্রতীক্ষায় ছিল।’
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা