বরাবরই নিজের কর্মকাণ্ড কিংবা বেফাঁস মন্তব্যের কারণে সংবাদের শিরোনামে থাকেন বলিউড অভিনেত্রী ও বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌত। সম্প্রতি হিমাচলের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনেন তিনি। অভিযোগ, বাড়িতে না থাকা সত্ত্বেও এক লাখ রুপি বিল এসেছে তাঁর। এবার কঙ্গনার অভিযোগের জবাব দিয়েছে হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ড। তারা জানিয়েছে, এ অভিযোগ মিথ্যা, উল্টো দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে কঙ্গনার।
সম্প্রতি এক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কঙ্গনা অভিযোগ এনে বলেন, ‘চলতি মাসে আমার মানালির বাড়িতে এক লাখ রুপি ইলেকট্রিক বিল এসেছে। যেখানে আমি থাকিও না। কতটা দুর্দশা দেখুন। আমি এগুলো পড়ি আর লজ্জা পাই এটা ভেবে যে, কী চলছে হিমাচলে। আমাদের রাজ্যকে ওদের থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদেরই।’
কঙ্গনার এমন বিস্ফোরক অভিযোগের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন হিমাচল প্রদেশের ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের সভাপতি সন্দীপ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, কঙ্গনা রনৌত যে ১ লাখ রুপির বিলের অভিযোগ এনেছেন, তা মিথ্যে। সভাপতির কথায়, ‘জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিল পরিশোধ না করায় ৯০ হাজার রুপির বিল পাঠানো হয়েছে ম্যাডামকে। দুই মাসের বিল বাবদ হয়েছিল ৯০ হাজার রুপি, তবে নির্ধারিত সময় অতিক্রম করায় জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত ৩২ হাজার ২৮৭ রুপি যুক্ত হয়েছে। দুই মাসের বকেয়া ও জরিমানা যোগ করলে সেটা ৯১ হাজার রুপির কিছুটা বেশি দাঁড়ায়। মোটেই তা ১ লাখ রুপি হয় না। তা ছাড়া তিনি যদি সময়মতো বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দিতেন, তাহলে তাঁর কাছে ৫৫ হাজার রুপির বিলই যেত।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) টিকিটে সংসদে গেছেন বলিউড তারকা কঙ্গনা। প্রথমবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েই চমক দেখান তিনি। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহকে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি।