× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শিক্ষক-কর্মীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুপারিশ

সংসদীয় কমিটির বৈঠক

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৪ মে ২০২৪, ০৩:০১ এএম । আপডেটঃ ২৪ মে ২০২৪, ০৩:০২ এএম

সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক। সংগৃহীত

এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে মন্ত্রণালয়কে পর্যালোচনা প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবদুল মজিদ, আহমদ হোসেন, বিপ্লব হাসান, আব্দুল মালেক সরকার ও আজিজুল ইসলাম।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, আগের বৈঠকে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের পেনশন নিয়ে আলোচনা করা হয়। ওই বৈঠকের কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেনের অভিযোগ– এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের পর পেনশন সুবিধা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি অনেকেই পেনশনের অর্থ পাওয়ার আগে মারা যান।

আরেক সদস্য আহমদ হোসেন বলেন, এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই শিক্ষকদের পেনশন এককালীন পরিশোধ না করে দুটি কিস্তিতে দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

আলোচনার এক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার বলেন, বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের পেনশন এককালীন পরিশোধ না করে সরকারি কর্মচারীদের মতো অর্ধেক এককালীন এবং বাকিটা মাসিক পেনশন হিসেবে দেওয়া যায় কিনা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।

বৈঠকে অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী বলেন, শিক্ষকদের কাছ থেকে আদায় করা চাঁদা এবং স্থায়ী আমানতের সুদ মিলে বছরে দাঁড়ায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। আর বর্তমানে সুদের হার বাড়ায় এ খাত থেকে বছরে ৫০ থেকে ৫৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু শিক্ষকদের দাবিকৃত অবসর ভাতা পরিশোধে প্রয়োজন ৪৪৪ কোটি টাকা।

ঘাটতি পূরণের জন্য সরকারের অনুদান বাড়ানোর পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত ২ কোটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বছরে ১০০ টাকা, পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা বোর্ডের তহবিল থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দিলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়ে পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মন্ত্রীর প্রস্তাবের বিষয়টি কমিটিতে সুপারিশ আকারে আনা হয়।

গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। ওই সুপারিশের অগ্রগতি প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে– বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার বিষয়টি মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট কমিটিতে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আগামী জুলাই থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের নবনিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে বলে সরকারের এক আদেশে বলা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেছেন।

জানা গেছে, কমিটির আগের বৈঠকে এক সদস্য বলেন, পাঠ্যপুস্তকে যেসব কাগজ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিম্নমানের। তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকাজে অসমতা রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় অনেক বেশি কাজ হয়েছে, কিছু এলাকায় খুবই কম হয়েছে।

কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে কমিটির সদস্য আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিত হচ্ছেন, অতীতে যা ছিল অকল্পনীয়। এটি বন্ধে শিক্ষা ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.