× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সনদ জালিয়াতি

নিজের ‘দায় দেখছেন’ কারিগরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৮ পিএম । আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৫ পিএম

সংগৃহীত

সনদ জালিয়াতির ঘটনায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খান সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ। 

মঙ্গলবার ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে টানা প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার দায় কোনোভাবেই সাবেক এই চেয়ারম্যান এড়াতে পারেন না।     

গোয়েন্দা পুলিশের হাতে স্ত্রীর গ্রেপ্তারের পর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলী আকবরও আলোচিত এ ঘটনায় নিজের দায় দেখছেন। 

স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার তিন দিন পর গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ডাকে ডিবি কার্যালয়ে হাজির হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি সেখানে প্রায় চার ঘণ্টা অবস্থান করেন। বেলা ৩টার দিকে তিনি বের হয়ে আসেন। 

অর্থের বিনিময়ে সনদ জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি এত বড় জালিয়াতির ঘটনার দায় এড়াতে পারি না। 

বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সনদ বাণিজ্যের দায় অবশ্যই আমি এড়াতে পারি না। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।

গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে তিনজন আদালতে তাদের অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। 

ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আলী আকবর খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন। 

আমরা ডিবির পক্ষ থেকে তাকে দুই দিনের সময় দিয়ে জবাব দিতে বলেছি। এই সময়ের মধ্যে তিনি যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন তা হলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুরো বিষয় নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখন দেখার চেষ্টা করব তিনি আসলেই সনদ বিক্রির বিষয়টি জানতেন কি না? তার অবশ্যই জানার কথা। কেননা তিনি এক সময় কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। প্রশাসনিক বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। 

আর্থিকভাবে চেয়ারম্যান জড়িত কি না তা তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে, বলেন তিনি। 

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, এসব কাজে চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অবহেলার বিষয়েও আলী আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এর আগে এ ধরনের জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও কেন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না সেই প্রশ্নের উত্তরও গোয়েন্দারা খুঁজছেন।
 
হারুন বলেন, সিস্টেম এনালিস্ট শামসুজ্জামানের কাছ থেকে ওএসডি হওয়া বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে স্ত্রীর বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন আলী আকবর। 

জাল সার্টিফিকেটগুলো কারা কিনেছে, কোথায় বিক্রি করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে জানিয়ে এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এজন্য বুয়েটের একটি পরীক্ষক দলের সহযোগিতা নেওয়া হবে। 

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.