× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আদালতের আদেশ ‘শিরোধার্য’: বুয়েট উপাচার্য

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০১ এএম । আপডেটঃ ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪০ এএম

বুয়েট উপাচার্য।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাই কোর্ট যে  আদেশ দিয়েছে, তা অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার।

তিনি বলেছেন , কোর্ট যেটা বলবে আমাদের সেটা মানতে হবে। কোর্টের আদেশ শিরোধার্য। আদালত অবমাননা আমরা করতে পারব না। আদালতের রায়ের পর সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য এ কথা বলেন।

২০১৯ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে ওই ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হয়।

এক ছাত্রলীগ নেতার করা রিট আবেদনে ওই নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা সোমবার স্থগিত করে আদেশ দেয় হাই কোর্ট। এর ফলে দেশে প্রেকৌশল শিক্ষার শীর্ষ এ বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি চর্চায় আর কোনো বাধা থাকছে না।

উপাচার্য বলেন, কোর্ট যেটা বলবে আমরা সেটা করতে রাজি আছি। আদালতের এই বিষয়ে ক্ষমতা আছে। তারা আমাদের যে নির্দেশনা দেবে, তা আমরা মেনে চলব।

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু হলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কী না– এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, রাজনৈতিক পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য ছাত্র-শিক্ষক, প্রশাসন সবাই মিলে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সেজন্য আমাদের আলোচনা প্রয়োজন।

আগে ইউকসু তথা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ছিল। এখন তার কার্যক্রম বন্ধ আছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কী চায়, তা বিবেচনায় নিয়ে একটা কিছু করতে হবে।

ছাত্র রাজনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ অনেকে বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে নতুন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

তাদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালা লঙ্ঘন করে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম এ সমাগম ঘটান।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। পরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

এরপর রাতে বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের হলের সিট বাতিল করা হয়।

পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করে ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এর মধ্যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরানোর দাবিতে পাল্টা কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগ।

রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে তারা অবিলম্বে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চালুর অনুমতি দেওয়ার দাবি জানায়। পরে বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে ‘সহমত পোষণ’ করে শনিবার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন উপাচার্য।

তিনি বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করার জন্য যা যা করার, করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন এলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। নিয়মবহির্ভূতভাবে একজনকে বহিষ্কার করলে সেটা আদালতে টিকবে না। নিয়মের মধ্যে সবকিছু করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। যেহেতু রোজার মাস, সময় একটু বেশি দেওয়া উচিত ছিল।

আর ছাত্রলীগ রোববার প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর তিনি বলেছিলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে’ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাম্পাসে আবারও ছাত্র রাজনীতি করার অনুমতি দেওয়া হবে।

তখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সেটা যদি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে তাদের আবার উদ্যোগী হতে হবে।

এদিকে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার হাই কোর্টে রিট মামলা করেন হল থেকে বহিষ্কৃত ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বী।

তার আবেদনের শুনানি করেই বুয়েটের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.