প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স ফোরাম (ইউটিএফ)। শিক্ষকদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপের ঘটনাকে 'অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক' এবং 'মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে শিক্ষক সমাজ।
ইউটিএফ-এর আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ড. শামীম হামিদী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “সম্মানিত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষক সমাজ রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড—তাদের ন্যায্য দাবি দমন নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই দায়িত্বশীল সরকারের পরিচায়ক।”
ইউটিএফ নেতৃত্ব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আজ আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর কাঁদুনে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জলকামান থেকে গরম পানি নিক্ষেপের যে ঘটনা ঘটেছে, তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আমরা লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক সমাজ বারবার পুলিশি হামলার শিকার হচ্ছেন—যা কেবল অমানবিকই নয়, বরং রাষ্ট্রের শিক্ষাবান্ধব ভাবমূর্তিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী আশা করেছিল, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি সহনশীলতা বাড়বে। কিন্তু আজকের ঘটনাবলী প্রমাণ করছে, দমন-পীড়নের সংস্কৃতি এখনও শেষ হয়নি।”
ইউটিএফ নেতৃবৃন্দ কঠোর ভাষায় বলেন, “আজকের পুলিশি হামলায় বহু শিক্ষক আহত হয়েছেন, নারী শিক্ষকরাও রেহাই পাননি—এটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এর আগেও শিক্ষকদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। আজও আমরা একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি, যা হতাশাজনক।”
ইউটিএফ-এর দাবি
বিবৃতির শেষে ইউটিএফ তিনটি জরুরি আহ্বান জানায়:
- আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।
- দমন-পীড়নের পথ পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।