একই দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফোরাম (ইউটিএফ)। আজ (১ সেপ্টেম্বর) ইউটিএফ-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টরসহ অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় লাইব্রেরিতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিস ও উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে, যা খুবই দুঃখজনক এবং শিক্ষার পরিবেশের জন্য অপ্রত্যাশিত। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাকৃবি শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদল নেতারা রাকসু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেন এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। ইউটিএফ এটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এবং শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য হুমকি।" ইউটিএফ সরকারের কাছে অবিলম্বে এই হামলার ঘটনাগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানায়। একই সঙ্গে, হামলায় বহিরাগতদের পাশাপাশি অন্য কোনো গোষ্ঠী জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, ইউটিএফ আহত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশের সকল ক্যাম্পাসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে।