ভাষা বিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক মারা গেছেন।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার গভীর রাতে ৭৬ বছর বয়সী এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়।
ড. মাহবুবুল হকের ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত মাহবুবুল হক জুন মাসে আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। কিছুদিন পরেই ঢাকায় নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এ মাসের শুরুতে তার বাইপাস করা হয়েছিল। এর দুই দিন পর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।"
আশরাফুল জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য অধ্যাপক মাহবুবুল হকের মৃতদেহ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নেওয়া হবে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে। সেদিন বাদ আসর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করা মাহবুবুল হকের পৈত্রিক নিবাস ফরিদপুর জেলায়। রেলওয়ের কর্মকর্তা বাবার চাকরিসূত্রে চট্টগ্রামে তার বেড়ে ওঠা। থাকতেন নগরীর লালখান বাজার বাঘঘোনা এলাকায়।
ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অংশ নেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে।
বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করা ড. মাহবুবুল হক ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০১৩ সালে তিনি অধ্যাপক হিসেবে বিভাগ থেকে অবসরে যান। ২০১৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
অধ্যাপক মাহবুবুল হকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক বেণু কুমার দে, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়া।