× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নৈরাজ্যের ক্ষত অর্থনীতিতে, পুনরুদ্ধার কোন পথে?

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৪ জুলাই ২০২৪, ১৮:৪৯ পিএম । আপডেটঃ ২৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৫০ এএম

নাশকতার আগুনে পোড়া সেতু ভবন| ছবি—সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক সংকট, মূল্যস্ফীতি আর ডলারের দরের দাপটে এমনিতেই চাপে ছিল দেশের অর্থনীতি, তার মধ্যে এল কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নজিরবিহীন এক নৈরাজ্যের আঘাত। তাতে যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, কীভাবে তা সামলে উঠবে বাংলাদেশ?

আট দিনের সংঘাত আর পাঁচ দিনের কারফিউয়ের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আর অর্থনীতিতে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হল, তা বুঝতে আরো কিছুটা সময় লাগবে। তবে এর একটি ধারণা দিচ্ছেন দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও উৎপাদকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, বন্দর কার্যক্রম এবং কারখানা বন্ধ থাকায় এ খাতে প্রতিদিনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ৬০০ কোটি টাকার মত।

তবে এ সংগঠনের সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলছেন, ”এর চেয়েও বড় ক্ষতিটা হচ্ছে, আমাদের প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ও নির্ভরতায় ঘাটতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।”

এই আস্থার ক্ষত মেরামতের ওপর এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিতে বলছেন বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তার ভাষায়, ”আস্থা যত দ্রুত নামে, তত দ্রুত ওঠে না “

আন্দোলন-সহিংসতায় থমকে যাওয়া অর্থনীতির চাকায় ফের গতি আনতে অর্থনীতিবিদরা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আস্থার পুনর্বাসনের পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক সেবা-পরিষেবা ফের স্বাভাবিক করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।

তারা বলছেন, ‘অস্বাভাবিক’ সময় থেকে দেশ এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে ‘স্বাভাবিক’ সময়ে ফিরিয়ে আনতে হবে। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলোতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা সারাতে অর্থের যোগান দিতে হবে, কিন্তু তা করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। দরকার হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে নতুন করে।

কেননা অর্থ ছাড়ের হিসাবে গড়বড় হলে মূল্যস্ফীতি, ঋণের বোঝা আরও বাড়বে, তাতে সামষ্টিক অর্থনীতি আরো বেশি চাপে পড়বে বলে মনে করছেন সামষ্টিক অর্থনীতির বিশ্লেষকরা।


কেন এই ক্ষতি

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল জুলাই মাসের শুরু থেকেই। তবে শুরুতে তা শান্তিপূর্ণই ছিল।

পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, যখন আন্দোলনকারীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে। আর মাসের মাঝামাঝি সেই আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হলে প্রায় অচল হয়ে পড়ে দেশ, শুরু হয় নজিরবিহীন নৈরাজ্য। তাকে অর্থনীতির চাকাও থামকে যায়।

কারফিউ জারি হলে শিল্প উৎপাদনের চাকা পুরোপুরি থেমে যায়, প্রতিদিন বাড়তে থাকে অর্থনীতির ক্ষতির অংক।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের হিসাবে দেশের দোকানপাট এক দিন বন্ধ থাকলে ক্ষতি হয় অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা। এবারের ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। তাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের দুই কোটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

ছোট-বড় কোনো ব্যবসাই এ ক্ষতির বাইরে নয়। শিল্পোৎপাদন ৬ দিন বন্ধ থাকার পাশাপাশি যোগাযোগ বন্ধ থাকায় পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। এক দিকে আমদানি রপ্তানি বন্ধ, অন্যদিকে বিঘ্নিত হচ্ছে সরকারের রাজস্ব আয়।

এই পুরো সময়টায় ব্যাংক ও আর্থিক খাত ছিল প্রায় অচল; রেমিটেন্স আসা বন্ধ থাকায় অর্থনীতির শ্বাসবায়ুর যোগান পড়েছে হুমকিতে।

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য, আর্থিক খাত, শুল্কায়ন, ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যোগাযোগ থেকে শুরু করে সাধারণের জীবনে বড় প্রভাব পড়েছে।

গত অর্থবছর শেষ হয়েছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে। গত এক সপ্তাহের অস্থিরতায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে নতুন করে সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা।


স্বাভাবিকতায় কীভাবে

বছর তিনেক ধরেই নানা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দাম, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সংকট, রাজস্ব ঘাটতিতে ঋণ নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি, ঋণের সুদ পরিশোধের দায় ও বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ে ভাটা রয়েছে তালিকার উপরের দিকে।

সরকার সংকট নিরসনে সংকোচন নীতিতে হাঁটছে গত বছর থেকেই। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার সেভাবে বাড়ানো হয়নি। সরকার বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমিয়েছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই করছে, প্রকল্প ব্যয় কমাতে মূল্যায়ন কার্যক্রম জোরদার করেছে।

কিন্তু সব সংকট আরও তীব্র হয়েছে কোটা আন্দোলন আর সহিংসতা ঘিরে অচলাবস্থায়। এতটা নাজুক পরিস্থিতি কথা গত কয়েক দশকে দেখেনি দেশবাসী।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এখন অস্বাভাবিক সময়ের মধ্যে আছি। এটি মহামারী বা বৈশ্বিক মন্দার মত পরিস্থিতি না, এর শান্তিপূর্ণ সমাধান আসতে হবে রাজনৈতিক পর্যায় থেকেই। সামনের দিনে এমন ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে ভাবতে হবে।”

স্বাভাবিকতায় ফিরতে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজস্ব আদায়ে বড় ধাক্কা এসেছে। সেজন্য প্রথমেই স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। কারফিউ ওঠাতে হবে, উৎপাদন ও বাণিজ্য কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে হবে স্বাভাবিক অবস্থায়।”


‘আস্থার পুনর্বাসন’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারা দেশের ৪৩টি শুল্ক স্টেশন দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ৬ হাজার চালান পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এ হিসেব আমলে নিলে গত বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনে প্রায় ১৮ হাজার চালান বন্দরে আটকা যায়।

ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় পণ্য রপ্তানিও করা যায়নি। আমদানি করা পণ্যের শুল্কায়ন হয়নি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এপেক্স গ্রুপের এমডি নাসিম মঞ্জুর বলেন, “কারখানাগুলো কালকে থেকে খোলার ব্যবস্থা করে দেন। সমস্যা হলে বন্ধ করে দেব। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিরাপত্তা দেন। ম্যানুয়াল সিস্টেমে মাল খালাস করার ব্যবস্থা করে দেন।… ইমেইল করার ব্যবস্থা করে দেন, নাহলে কোনো অর্ডার আমাদের থাকবে না।”

বর্তমানে বন্দরে সকল পণ্য কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড অটোমেশনের মাধ্যমে খালাস করা হয়। পরে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু পণ্য খালাসের নির্দেশ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, “আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আস্থার যে সংকট তৈরি হল, সেটার পুনর্বাসন করতে হবে। ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতিও অনাস্থা জন্ম নিতে পারে। রপ্তানিতে ভাটা দেখা দিতে পারে। এর সুরাহা বেসরকারি খাতই করবে। তবে সরকারকে প্রথমে দায়িত্ব নিতে হবে।

”আমাদের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার আগে থেকেই জরুরি ছিল। এখন এ সংকটময় সময়ে সরকার গুরুত্ব দিয়ে সংস্কার করলে অর্থনীতির পুনরূদ্ধার সম্ভব।”

তিনি বলেন, আর্থিক খাতে সংস্কারের গতিশীলতা বাড়াতে হবে। খেলাপি ঋণের সমাধান করতে হবে। দুর্বল ব্যাংকের বিষয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি লাগবে। সর্বোপরি অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে। সেটা করা গেলে বাকি কাজ বেসরকারি খাতই পারবে।


এডিপিতে অগ্রাধিকারের পুনর্বিবেচনা

কোটা আন্দোলনের মধ্যে সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, দুর্যোগ ভবন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম, মেট্রোরেলের দুটি স্টেশন, বিটিভি, হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর স্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের মহাখালী অংশ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, পুলিশ স্টেশন, বনশ্রী পিবিআই অফিস, উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি, উত্তরা ও মোহাম্মদপুর কমিউনিটি, মহাখালীন ডিএনসিসি হাসপাতাল, নরসিংদী কারাগারে হামলা, অগ্নিসংযোগ করা হয়।

সেতুভবনে আগুন দেয়ার ঘটনায় ৫৫টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে ৫৩টি গাড়ি ও ১৬টি মোটরসাইকে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আগুনে সার্ভারসহ অনেক কিছু পড়ে গেছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে।

মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজী পাড়া স্টেশনে হামলা হয়েছে। দুই স্টেশনে যেভাবে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা চালু করতে বছর খানেক সময় লাগতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। স্বাভাবিক পরিষেবা কবে নাগাদ দেওয়া যাবে, তা নিয়েও সন্দিহান কর্তৃপক্ষ।

এসব স্থাপনা মেরামতে অর্থের জোগান দিতে হবে। আবার সরকারের আগের নেওয়া প্রকল্প আছে, সেসব বাস্তবায়ন করতে হবে। এ কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এডিপি পুনর্বণ্টন করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। তার অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দিতে বলছেন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ের মত যেসব জনকল্যাণমূলক সেবার স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করতে হবে।

”যেহেতু অর্থনীতির নানান সংকট রয়েছে, সরকারকে তাই প্রকল্প নেওয়া ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও নজর দিতে হবে। যেসব এ মুহূর্তে না হলেও চলবে, সেসব বাদ দিয়ে সে অর্থ এসব পরিষেবায় ব্যয় করতে হবে। যত্রতত্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়বে।”

আগেই বিল্ডিং বানাতে নজর না দিয়ে অস্থায়ী কার্যালয় দিয়ে কার্যক্রম চালানো, নতুন গাড়ি না কিনে সরকারের অন্যান্য দপ্তরে যা আছে তার সঙ্গে সমন্বয় করে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আইএমএফের সাবেক এ কর্মকর্তা।

একইরকম মত দিয়েছেন জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ”মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সরকার অনেক বিনিয়োগ করেছে। এখন ব্যবহার না করতে পারলে তো হবে না। এ বিনিয়োগের পুরো সুফল পাওয়া যাবে না।

“বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাঁট করে রি-প্রায়োরেটাইজ করতে হবে। এসব পুনর্বাসনে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে যেসব বিল্ডিং ধ্বংস হয়েছে, গাড়ি পুড়েছে সেসব মেরামতে খরচের বেলায় সতর্কতা দেখাতে হবে। যেগুলো আগে থেকেই পুরাতন ছিল, সেসব আর মেরামত করে খরচ না বাড়িয়ে পরিকল্পিত উপায়ে এগোতে হবে।”

আর প্রকল্প বাস্তবায়ন ও কর ছাড়ের ক্ষেত্রে টাকা ছাপিয়ে বা ঋণের মাধ্যমে সমাধানের পথে না হাঁটার পরামর্শ দিয়ে আহসান মনসুর বলেন, ”টাকা ছাপালে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। বাস্তবতা হচ্ছে এসব সংস্কারে খরচ হবে। জনগণের সমস্যাও হবে। পুরোপুরি সংস্কার হতে সময়ও লাগবে। তবে বিকল্প উপায়ে বা অন্য খাতের খরচ কমিয়ে এখনকার সমাধান করতে হবে।”


ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা

নৈরাজ্যকে ‘ম্যান মেইড ডিজাস্টার’ হিসেবে বর্ণনা করে আহসান মনসুর বলেন, ”এখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। অনেককিছু শেখার আছে। সরকারের জন্য, ছাত্রদের জন্য ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য। কী করলে আর এমন ঘটনা দেখতে হবে না সেটি বিবেচনা করতে হবে।

”জানের ক্ষতি হয়েছে। আস্থার সংকট হয়েছে। এটা থেকে উত্তরণে সত্যিকার অর্থে যেটা দরকার সেটা হচ্ছে শাসনব্যবস্থার মধ্যে কনসালটেটিভ প্রক্রিয়া নিয়ে আসা। অন্যের কথা শোনা।”

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.