× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শনির আখড়ায় ফের সংঘর্ষ-আগুন

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৭ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩৮ পিএম । আপডেটঃ ১৭ জুলাই ২০২৪, ২৩:০২ পিএম

“তারা টোল প্লাজাসহ বিভিন্নস্থানে আগুন দিয়েছে। আমরা তো কাছেই যেতে পারছি না। আমরা আগুন নেভাতে গেলে তারা আমাদের মেরে ফেলবে” বলেন পোস্তাগোলা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার

শনির আখড়া এলাকায় কিছু লোকজন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দেয়। পুলিশের কাছে তাদেরকে কোটা আন্দোলনকারী মনে হয়নি।

রাজধানীর শনির আখড়ায় হানিফ ফ্লাইওভারসহ আশেপাশে কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি টোলপ্লাজাসহ আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কাছাকাছি অবস্থান করলেও কাছে যেতে পারছে না।

এর মধ্যে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকদেরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাঁদুনে গ্যাস ছোঁড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করছে। বিক্ষুব্ধরাও ইট পাটকেল ছুড়ে জবাব দিচ্ছে।

বুধবার রাত ১০টার পর এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে সংঘর্ষ চলছে। এই ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের পোস্তাগোলা ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার শাহীন আলম সাংবাদিকদের জানান, “তারা টোল প্লাজাসহ বিভিন্নস্থানে আগুন দিয়েছে। আমরা তো কাছেই যেতে পারছি না। আমরা আগুন নেভাতে গেলে তারা আমাদের মেরে ফেলবে। এজন্য আমরা যাচ্ছি না। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই।”

বাহিনীর কর্মীরা পাশের একটি পেট্রোল পাম্পে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে রাকিবুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার কিছু পরে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ২টি ইউনিট পাঠানো হয়। তবে রাত সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা কেউ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।

বিকালেও সেখানে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সংঘর্ষের সময় শিশুসহ সাতজন গুলি বিদ্ধ হন।

৫টার পর ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাছে শনির আখড়ায় পুলিশের ওপর ‘একদল লোক’ অতর্কিতে হামলা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাত ৯টার পর থেকে ওই এলাকাসহ আশেপাশে ব্যাপক লোকজন জমায়েত হতে থাকে এবং তারা রাস্তায় টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করা শুরু করে।

পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা কোটা সংস্কারের আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থী বলে মনে হয়নি তাদের কাছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের এডিসি মো. আলাউদ্দীন বলেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শনির আখড়া এলাকায় বিকাল সোয়া ৫টার দিকে হঠাৎ করে কিছু ‘উচ্ছৃঙ্খল লোক’ এসে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের চার সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

এডিসি আলাউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, সংঘাত সৃষ্টির পর শনির আখড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ গেলে ‘হামলাকারী’দের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে সংঘাত চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সংঘাতে পুলিশ ও হামলাকারী ছাড়াও কয়েকজন পথচারী আহত হয়েছেন বলে শুনেছেন এডিসি আলাউদ্দীন।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইকবাল হোসাইন বলছেন, “শনির আখড়ায় যারা সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে, তারা কেউ শিক্ষার্থী নন। তারা কোটা সংস্কারে দাবিতে এমনটা করেছেন, সেটাও মনে করার কোনো কারণ নেই।”

যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলছেন, পুলিশের ওপর হামলা ছাড়াও হামলাকারীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে আহত সাতজন ঢামেক হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুই বছরের একটি শিশুও রয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.