× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মহাখালীতে কোটা আন্দোলনকারীদের রেললাইন অবরোধ, সারাদেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ এএম । আপডেটঃ ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩০ এএম

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাতে সারাদেশের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

ঢাকা জেলা রেলওয়ের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুর ২টার পর শিক্ষার্থীরা মহাখালী রেলগেইটে অবরোধ করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর ১টার দিকে বিএএফ শাহীন কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়। বেলা ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে যেতে বলে। তাতে সাড়া না দিয়ে শিক্ষার্থীদের ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

ঘটনাস্থলে আটকে আছে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহীগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন।

কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করা হয়েছে। এতে দুটি ট্রেন সেখানে আটকে আছে। ওগুলো না ছাড়লে অন্য ট্রেনও চালানো যাচ্ছে না।”


কমলাপুর জিআরপি থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা খবর পেয়েছি মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করা হয়েছে। কারা করেছে বিস্তারিত জানি না। আমরা সেখানে যাচ্ছি।”

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা করতে হবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে সরকারপ্রধান বলেন, “কোটা আন্দোলন করার আগে তো তাদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিল যে- কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে! দ্বিতীয়টি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি পুতিরা (চাকরি) পাবে?

ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই বক্তব্য নিয়ে রোববার রাতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গভীর রাতে বিক্ষোভে নামেন। সেখানে স্লোগান দেওয়া হয়, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার-রাজাকার; কে বলেছে কে বলেছ, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’।

এরপর সোমবার পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।

এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং পরে আন্দোলনকারীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় ছাত্রলীগ। পিটুনিতে আহত হয়ে প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের মধ্যে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয়। পরদিন মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেল অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.