বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি-সংগৃহীত
বান্দরবানে চার দিনের টানা বর্ষণে সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। নদী তীরবর্তী লোকজন সরে গেছে নিরাপদ আশ্রয়ে। অব্যাহত বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলায়।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে রুমা-থানচি, রোয়াংছড়ি সড়কে ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলায় অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে বৃষ্টিতে সাঙ্গু নদীর স্রোতে থানচিতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনও মেলেনি।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানায়, গত শনিবার থেকেই জেলার সাতটি উপজেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। কখনও মাঝারি ও কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়। তবে গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় নদীর পানি কিছুটা কমেছিল। কিন্তু আজ দুপুরে দেড়টা থেকে আবারও থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এতে নদীর পানি আবারও বাড়ছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জেলা সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলায়। এদিকে নদী তীরবর্তী এলাকা ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পৌর মেয়র মো. সামসুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক বলেন, চার দিন ধরে জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও আজ দুপুর থেকে আবারও বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে প্রশাসন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কাজ করছে। সম্ভাব্য স্থানগুলোতে গিয়ে লোকজনকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে। নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরিবহণ শ্রমিকনেতা অমল দাস বলেন, পাহাড় ধসে রুমা সড়ক যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ থাকলেও রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে নেওয়ায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়ি,
বান্দরবান-রাঙামাটি, লামা-সুয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে সড়কে কাদা-মাটি জমে সড়কগুলো পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। তবে সড়ক যোগাযোগ সচল রয়েছে সব উপজেলায়।
বিষয় : পাহাড় ধস বন্যার আশঙ্কা ফায়ার সার্ভিস বন্যা মাইকিং
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh