রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন। বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এর আগে শনিবার (২২ জুন) দুপুরে উপজেরা চত্বরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হন তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আশরাফুল ইসলাম বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

স্থানীয়, পরিবার ও দলীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজের নেতৃত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল ও আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, আশরাফুল ইসলামের মাথায় আঘাত লেগেছিল। সেখান থেকে ইনফেকশন হয়ে তার মৃত্যু হয়।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম আহত হওয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।