× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সিলেটে বন্যার পানি কমছে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২২ জুন ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম । আপডেটঃ ২২ জুন ২০২৪, ০৮:৩৫ এএম

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমছে। গ্রামীণ রাস্তা ও বাড়িঘর থেকেও পানি নামছে। বিশেষ কেরে সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ার নদীর পানি কমছে প্রতিঘণ্টায় প্রায় ১ সেন্টিমিটার করে। বিভিন্ন নদীর পানি কমার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, গোয়াইন, সারি ও ডাউকি নদীর ৯ পয়েন্টের মধ্যে চার পয়েন্টে এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এসব পয়েন্টগুলো হচ্ছে- সুরমার কানাইঘাট, কুশিয়ারার অমলশীদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর।

তবে বিপৎসীমা থেকে নেমেছ পাঁচটি পয়েন্টের পানি। এগুলো হচ্ছে- সিলেটের সুরমা, কুশিয়াার শেওলা, সারি, ডাউকি ও সারিগোয়াইন নদী। দুই দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া ও পাহাড়ি ঢল কমে যাওয়ার কারণে পানি কমছে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

পাউবোর তথ্য মতে, শনিবার বিকেল ৩টায় সুরমা কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। দুপুর ১২টায় পানি ছিল ১৩.৯, সকাল ৯টায় ১৩.১০ ও সকাল ৯টায় ১৩. ১১ সেন্টিমিটার। সুরমা সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে বিকেল ৩টায় ১১ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৮, সকাল ৯টায় ৬ ও সকাল ৬টায় ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারা নদীর আমলশিদ পয়েন্টে সকাল ৬টায় ছিল ১৮ সেন্টিমিটার, ৯ টায় ১৫, দুপুর ১২টায় ১২ ও বিকেল ৩টায় একই অবস্থানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। একই নদীর শেওলা পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ০.১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেল ৩টায় ০.১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে কুশিয়ারার ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকালে বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর ‍দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল, তবে বিকেল ৩টায়ও ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ পয়েন্টে পানি কমার রেশিও খুব কম। এছাড়া অন্য নদীর পয়েন্টে সকালের চেয়ে বিকেলে ৯ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করলেও এখনও সিলেটের লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর ছাড়াও অন্যান্য উপজেলার অধিকাংশ এলাকা থেকে পানি নামেনি। এদিকে বন্যার কারণে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ২২ হাজার ৬২৩ জন অবস্থান করছেন। আর আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে গেছেন প্রায় ৮ হাজার মানুষ।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.