কমিটি গঠনে বাণিজ্য ও অযোগ্যদের কমিটিতে স্থান দেওয়াসহ নানা অভিযোগে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ২২ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আহ্বায়ক কমিটির ৩৬ সদস্যের মধ্যে ২২ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে ২২ জনের স্বাক্ষর থাকলেও সংবাদ সম্মেলনে আটজন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ শিকদার। লিখিত বক্তব্যে তারা জেলা ও উপজেলা কমিটির বিরুদ্ধে কমিটি গঠনে উৎকোচ গ্রহণ, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতকারী’ ও দীর্ঘদিন দলে নিষ্ক্রিয়দের কমিটিতে স্থান দেওয়ার অভিযোগ আনেন। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল জলিল দুই বছর আগেও দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এছাড়া শহিদুল ইসলাম বাবুল দলে নিষ্ক্রিয় হলেও তাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এম ছগির, আবুল কালাম আজাদ, সদস্য দুলাল ফকির, নুরুজ্জামান নাদিম, আবুল কালাম খান। কমিটি গঠনে বাণিজ্য হয়নি দাবি করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ হোসেন বলেন, নিয়ম অনুযায়ী জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখানে নিয়োগ বাণিজ্য হয়নি। 

পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামাল লাভলু বলেন, কারা পদত্যাগ করেছে এবং কী কারণে করেছে তা জানি না। কপি হাতে পাওয়ার পর বলতে পারব। আর বিএনপিতে কমিটি গঠনে বাণিজ্যের কোনো প্রশ্নই আসে না। যারা তুলনামূলক কম পদ পায় তারাই বাণিজ্যের অভিযোগ আনেন।