× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

স্কুলের মাঠে হাটের ইজারা, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১১ জুন ২০২৪, ১২:১৬ পিএম । আপডেটঃ ১১ জুন ২০২৪, ১২:১৭ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্কুলের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কারণে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ করেছেন আব্দুর রশীদ নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত গুলসান আরা বেগম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর পোকাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আব্দুর রশীদ একই এলাকার মৃত খাদেম আলীর ছেলে।

গত সোমবার (৩ জুন) জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে দুদকের আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়।
 
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক দশ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলে। গত রোববার (৯ জুন) দ্বিতীয় শুনানিতে তাদের উভয় পক্ষকে ডাকা হয়। সোমবার (১০ জুন) দুইজন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল আলম ও মুমিনুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তের জন্য ওই স্কুলে যান। তবে তদন্তের বিষয়ে এই দুই কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
অভিযোগকারী আব্দুর রশীদ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে একই স্কুলে থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন। তিনি ব্যাক্তির স্বার্থে স্কুলের জমি ও হাট লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাত করছেন। স্কুলের গাছ বিক্রি করেছেন। নিজেদের লোক দিয়ে রাতের অন্ধকারে কমিটি গঠন করেন। জমিদাতার কোনো নাম নেই। যারা জমি দান করেছেন তাদের তিনি স্কুলে ঢুকতে দেয় না। হুমকি-ধামকি দিয়ে তাদের দূরে রাখেন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিক গুলসান আরা বেগম বলেন, স্কুলের কোনো জমি বা হাট লিজ দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আর সবার সামনে প্রকাশ্যে কমিটি করা হয়েছে। আমার নামে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা-বানোয়াট। তিনি আরও বলেন, আইন অমান্য করার কোনো সুযোগ আমার নাই। যদি কোনো অন্যায় করে থাকি তাহলে অবশ্যই শিক্ষা অফিস আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

আর স্কুল কমিটির সভাপতি সেরেকুল ইসলাম বলেন, ‘গুলসান আরা বেগমের চাকরি আর বেশি দিন নেই। তাকে হয়রারি করার জন্যই আব্দুর রশীদ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বা টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। স্বচ্ছভাবেই কমিটি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিককে মানসিকভাবেই দুর্বল করার জন্য তিনি অভিযোগ দিয়ে আসছেন।
 
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ মো. মোকাদ্দেস ইবনে সালাম জানান, প্রধান শিক্ষিকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তা তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।  
 

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.