ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বরিশাল জেলায় ৬ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির ফসল। প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব অনুযায়ী আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১১০ কোটি টাকা। বুধবার (২৯ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ির, বরিশাল জেলার উপ-পরিচালক মুরাদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এতে বরিশালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
খামার বাড়ি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলায় মোট ১৩ হাজার ৪৬৯ হেক্টর জমিতে আউশ, পান, সাক-সবজি, পেঁপে এবং কলা আবাদ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৬ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭১ হেক্টর জমিতে আংশিক এবং ২ হাজার ৬৫ হেক্টর জমির ফসল শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, ২ হাজার ৩৪৯ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৭৯ হেক্টর জমির ফসল আংশিক এবং ৯৩৯ হেক্টর জমির ফসল শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে পান আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৯২ হেক্টর জমির পান আংশিক এবং ৮৯৬ হেক্টর জমির পান শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শাক-সবজি আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমির শাক-সবজি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া ২০০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ৩৯১ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বিভিন্ন ধরণের কলা গাছ। এর মধ্যে ১০০ হেক্টর জমির কলাগাছ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০ হেক্টর জমির কলাগাছ। ৩১২ হেক্টর জমিতে পেঁপে আবাদ হয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমির পেঁপে গাছ। এছাড়া শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হেক্টর জমির গাছ।