সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ভোটারদের প্রলুব্ধ করে অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার সময় দোয়াতকলম প্রার্থীর এজেন্ট ও সমর্থক ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।
বুধবার দুপুরে বেলকুচির তামাই পশ্চিম পাড়ার ভোটকেন্দ্র থেকে নগদ ৯৪ হাজার টাকাসহ তাকে আটক করা হয়।
সিরাজগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি জুলহাচ উদ্দিন জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের প্রলুব্ধ করে দোয়াতকলম প্রার্থী আমিনুল ইসলামের পক্ষে প্রকাশ্যে অর্থের বিনিময়ে ভোট কিনছিলেন ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল।
গোপন খবর পেয়ে আমরা তামাই পশ্চিম পাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করি। এসময় তার কাছ থেকে ৯৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি সদর ও কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রলুব্ধ করে ভোট কেনার দায়ে ভাঙ্গবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুলকে ডিবি পুলিশ আটক করেছে।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, দোয়াতকলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার শুধু তামাইতে নয় বেলকুচির ধুকুরিয়াবেড়া ইউিনিয়নের ধুলদিয়ার ও সাতলাঠিসহ প্রায় কেন্দ্রেই প্রকাশ্যে ভোট কিনছেন।
তামাই কেন্দ্রে ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ও ধুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল সাতলাঠি কেন্দ্রে দোয়াতকলমের প্রার্থী আমিনুলের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন বলে স্থানীয় লোকজন আমাদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, চেয়ারম্যান হেলালের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আমরাও স্থানীয়ভাবে পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই-বাচাই করে দেখা হচ্ছে।
দোয়াতকলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার নামে প্রতিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার করছে।