পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে দেশি অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ভায়না ইউনিয়নের রশিদ প্রামাণিকের ছেলে বাদশা প্রামাণিক (৪০) ও শেকেল শেখের ছেলে মতিন শেখ (৫০)।
পুলিশ ও নেতাকর্মীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে ভায়নার কালীর মোড় এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ সময় তাঁর এক সমর্থকের ওপর মোটরসাইকেল তুলে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আরেক প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক।
এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিন সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। অন্তত পাঁচজন আহত হন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
আমিন উদ্দিন বলেন, তাঁর বাড়িতে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনের লোকজন হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশ এসে তাদের ঠেকায়।
এ ব্যাপারে সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের ফায়ার করলে দু’জনের পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে দেশি অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিন।
তিনি বলেন, ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনের নেতৃত্বে তাঁর এক সমর্থককে মারধর করা হয়। এ নিয়েই উত্তেজনা বাড়ে।