কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ঢেউয়ের কবলে পড়ে একটি স্পিডবোট ডুবে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ জন যাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল বাতেন বলেন, টেকনাফগামী একটি স্পিডবোট শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়। তবে কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি। মূলত অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে যাওয়ার পথে নাফ নদে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট ডুবে যায়।
কামাল হোসেনের মালিকাধীন এ বোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল কিনা জানা নেই। তবে যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।
সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, যে স্পিডবোটটি ডুবে গেছে সেটা উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন।
সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে যাত্রী পরিবহন করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্পিডবোটটি সেখানকার স্পিডবোট মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করতো। এর মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।