স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূসহ কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর বিরুদ্ধে পৌরসভার অর্থ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার আলী কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নীলকমল পাল স্বাক্ষর করা পত্র মোতাবেক অভিযুক্তরা হলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, তার স্ত্রী আকতার জাহান, ছেলে পারভেজ আনোয়ার ও পুত্রবধূ নোশিন শারমিন। সবাই কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা।
দুদকের পত্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পৌরসভার আদায়কৃত অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎকরে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব সম্পদেও তথ্য সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তাদের স্থাবর সম্পদ অর্জনের রেকর্ড পত্রাদি পর্যালোচনার প্রয়োজন। এ কারণেই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়ে ওইসব তথ্য চেয়েছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন দফতরে এই চিঠি পৌঁছেছে।
এ ব্যাপাারে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নীলকমল পাল বলেন, সবচেয়ে বেশি অভিযোগ পাওয়া গেছে অতিরিক্ত কর আদায়ের। সরকারি বিভিন্ন দফতরের জন্য বেশি কর ধার্য্য করেছে এই পৌরসভা। এছাড়াও যে সংখ্যক নিয়োগ দেওয়ার কথা তারও বেশি নিয়োগ দিয়েছেন অর্থের বিনিময়ে। আর এসব অর্থ উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযোগের অনুসন্ধান আগেই করার কথা ছিল। জাতীয় নির্বাচনের কারণে থেমে ছিল, এখন শুরু হলো।
এ ব্যাপারে টেলিফোনে জানতে চাওয়া হলে আনোয়ার আলী বলেন, অনুসন্ধানের ব্যাপারে তিনি এখনও কিছুই জানেন না।
আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার গত জাতীয় নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন।
সেসময় হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।