সাভারের হেমায়েতপুরে তেলবাহী লরি উল্টে দগ্ধ সাতজন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এছাড়া দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পথে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন মারা যান। তার বাড়ি ময়মনসিংহে।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরিশালের বাকেরগঞ্জের মিলন (২২), বরগুনার মিম (১০), আল আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), সাকিব (২৪), হেলাল (২১) ও রাজশাহীর আবদুস সালাম (৩৫)।
তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাকিব ও হেলালের শরীরে শতভাগ পুড়েছে। তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া একজনের ৪৫ শতাংশ ও আরেকজনের ২০ শতাংশ পড়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
তিনি জানান, অপর তিনজনের দগ্ধ কম। তাদের দ্রুত সেরে ওঠার সুযোগ আছে।
মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় তেলবাহী লরি উল্টে চারটি ট্রাক, একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকার পুড়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে প্রায় ২ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর পাঁচটা ৩৫ মিনিটে তেলবাহী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের আইল্যান্ডে ধাক্কা দিলে আগুন ধরে যায়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় লরির পেছনে আটকে থাকা চারটি ট্রাক, একটি পিকআপ ভ্যান ও একটি প্রাইভেটকারে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি অ্যাম্বুলেন্স ও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠায়। এ সময় ইকবাল নামের একজন নিহত হন। তবে তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জানা যায়নি।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান বলেন, ঘটনার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।