ভোর থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় এই পরিস্থিতি দেখা গেছে।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিক থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। এরপরেই শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। এতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী এবং জরুরি কাজে বের হওয়া পথচারীরা।
হোসেন মিয়া নামে এক রিকশাচালক বলেন, গতকাল গরমের তীব্রতা বেশি ছিল। এজন্য আজ সকাল সকাল রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন তিনি। ঠান্ডায় ঠান্ডায় কয়েক ট্রিপ রিকশাচালানো গেলে সূর্য উঠলে একটু জিরিয়ে নেওয়া যাবে।
অফিসগামী মো. আব্দুর রহমান বলেন , সকালে অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছি। ৭টার মধ্যে অফিসে পৌঁছাতে হবে। অথচ সাড়ে ছটাতেই আটকে আছি এখানে। তীব্র বৃষ্টির কারণে একটি বাড়ির গেটে দাঁড়াতে হয়েছে।
মারুফ আলম জানান, হেঁটেই রওনা দিয়েছেন তিনি। ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতেই ভিজে গিয়েছেন। ছাতা থাকলেও ঝড়ো হাওয়ার কারণে ভেঙে গেছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে আশ্রয় খুঁজতে দেখা গেছে রিকশাচালকদের। কেউ কেউ রাস্তার পাশে রিকশা দাঁড় করিয়ে ভেতরেই বসেছিলেন কোনো রকমে। কেউ কেউ ভিজে গেছেন পুরোপুরি।
রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনগুলো চলছিল হেডলাইট জ্বালিয়ে। গুটগুটে অন্ধকার ছিল ঢাকার আকাশ। তীব্র বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে কিছু কিছু যানবাহনকে দেখা গেছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে।
এছাড়া রাজধানীর কোথাও কোথাও সড়ক বিভাজকের গাছ ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে।