সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দুই স্ত্রীর সন্তানদের দ্বন্দ্বের জেরে এক পক্ষের ছেলে বাবার কবরে শুয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন। যার ফলে মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে ছিল। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করা হয়। নীলফামারীর সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের যাদুরহাট বাটুলটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তির নাম মজিবর রহমান (৬৩)। গত বৃহস্পতিবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। পরে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মজিবর রহমান দু’টি বিয়ে করেন। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ এবং ওই স্ত্রীর ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। অন্যদিকে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের মধ্যে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীর তিন শতাংশ জমি বিক্রি করেন। কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার দাফন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম স্ত্রীর ছেলে নওশাদ জমির দাবিতে তার বাবার দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে পুলিশ আসলে তিনি কবর থেকে উঠে আসেন। এরপর আরেক জায়গায় নতুন করে কবর খোঁড়ে মজিবর রহমানের মরদেহ দাফন করা হয়।
চাপড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুল ইসলাম জানান, মজিবর রহমানের প্রথম স্ত্রীর ৪ ছেলে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। প্রায় ৮ বছর আগে তাঁর প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলের কাছে ৩ শতক জমি বিক্রি করেন। তবে, সেই জমি রেজিস্ট্রি হয়নি ওই সময়। প্রথম স্ত্রীর ছেলে নওশাদ আলীর সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই স্ত্রীর সন্তানদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। ঘটনার দিন রাগে-অভিমানে হয়ত তিনি এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, মজিবর রহমানের প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা মরদেহ দাফন করতে দিচ্ছেন না শুনে সেখানে পুলিশ যায়। পরে তাদের আশ্বস্ত করে দুপুরের দিকে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।