× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তরমুজে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪ পিএম । আপডেটঃ ২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ পিএম

ছবি: তরমুজ

মৌসুমের রসালো ফল তরমুজের বাজারের এখন কদর বেড়েছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভোক্তাদের থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা।  ব্যবসায়ী ও আড়তদাররা আছেন ফুরফুরে মেজাজে। তবে খুচরা পর্যায়ে এখনো মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্তের নাগালে আসেনি তরমুজের দাম। 

বিভাগের সবচেয়ে বড় তরমুজের বাজার বরিশাল পোর্ট রোডে বিভাগের সব জেলা থেকেই তরমুজ নিয়ে আসেন চাষিরা। এখানে কুষ্টিয়া, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারী ক্রেতারা আসেন চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি তরমুজ কিনতে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার বাড়ি বরিশাল সূত্রে, গত মৌসুমের চেয়ে এই মৌসুমে ১৪ শতাংশ বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৬ হাজার ৪৫১ হেক্টর জমিতে। 

আবাদ হয়েছে ৬৪ হাজার ১৮৩ হেক্টরে। উৎপাদন হয়েছিল ২৭ লাখ ২৪ হাজার ৩৩০ টন। আর চলতি মৌসুমে (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বিভাগের ছয় জেলায় ৫৪ হাজার ২ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। যা গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি।

বরিশালে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াই ৯৯৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। পিরোজপুরে ১২০ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত চাষ হয়েছে ১৮ হেক্টরে। ঝালকাঠিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৪০ হেক্টরে। 

ভোলার দৌলতখান উপজেলা থেকে তরমুজ নিয়ে আসা সোহেল বলেন, গত বছর লাভবান হওয়ায় এবার চাষের জমির পরিমাণ বাড়িয়েছি। গত বছর ছয় কানি (৬ কানি সমান ১ হেক্টর) জমিতে তরমুজ চাষ করি ৯ লাখ টাকা খরচ করে। 

ওই বছর ১১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করি। এ বছর ১০ কানি জমিতে আবাদ করেছি। আজকে যে ২০০০ পিস নিয়ে এসেছি তা প্রতি পিস ১৭৫ টাকা করে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।

আড়তদার আসাদ বলেন, তরমুজের দাম বাড়ার কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে এটি পচনশীল ফল। আজকে যে চাষি তরমুজ নিয়ে আড়তে এসেছেন, আসতে আসতে তার এক-দেড়শ তরমুজ পচে গেছে। আবার আড়ত থেকে যে ক্রেতা কিনে নিয়ে যাবেন তারও এমন দেড়-দুইশ তরমুজ পঁচে যাবে। সেই দামটি অবশিষ্ট তরমুজের সাথে যুক্ত হবে।

অপর পাইকারী ব্যবসায়ী ওসমান আলী বলেন, এখান থেকে ট্রলার ভর্তি তরমুজ পিস হিসেবে কিনে বগুড়ায় নিয়ে কেজি হিসেবে বিক্রি করব। নয়তো আমাদের লাভ হবে না। ওখানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবো।

ক্রেতা শাহেদুল ইসলাম বলেন, সব জায়গায় শুনি তরমুজ একেবারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এসে দেখি আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ছোট এক-একটা তরমুজ দুই থেকে আড়াইশ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা সিহাব আহম্মেদ বলেন, তরমুজের বর্তমান যা দাম তা এখনো সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। বড়লোকেরা সহজেই কিনতে পারছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত আর নিম্নবিত্ত কিনতে পারছে না। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বরিশাল খামার বাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে উৎপাদিত তরমুজ একটি অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছরই তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বিভাগের মধ্যে ভোলা আর পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি তরমুজ উৎপাদিত হয়। 

বরিশাল জেলায় বিশেষ লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও এ বছর ৯৯৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতদূর জেনেছি কৃষক ভালো ফলন পেয়েছেন। পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.