× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কক্সবাজারে ৮৫টি লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

২১ মার্চ ২০২৪, ০০:২৭ এএম । আপডেটঃ ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:২৭ এএম

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৮৫টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে ৩৩টি ইটভাটার অবস্থান সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতরে। ফলে ইট উৎপাদনে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ। যা আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা থাকায় তা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। এর ফলে বন উজাড়ের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও ধ্বংস হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার টেকনাফ, রামু, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে ৩৩টি ইটভাটা নির্মিত হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে। অপর ৫৪টি ইটভাটা বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হলেও এসবের বিপরীতেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই।

পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, কৃষিজমির টপ সয়েল, পাহাড় ও টিলার মাটি দিয়ে ৬০টির বেশি ভাটায় দৈনিক ১৫ থেকে ২০ লাখ ইট উৎপাদিত হচ্ছে। ৭ থেকে ১৬ বছর ধরে এসব ভাটায় অবৈধভাবে ইট উৎপাদন চললেও ঠেকানো যাচ্ছে না।

২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। আইনে বলা আছে, সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান, জলাভূমি ও কৃষিজমিতে ইটভাটা করা যাবে না। ইট উৎপাদনের জন্য কৃষিজমি, পাহাড় ও টিলা থেকে মাটি কেটে কাঁচামাল এবং জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহারও নিষিদ্ধ।

কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনাঞ্চলের পাশে তৈরি ৩৪টি ইটভাটা উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। কিন্তু আইনি জটিলতা ও উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে অবৈধ ভাটাগুলো উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। তবে ভাটাগুলোতে বনাঞ্চলের কাঠ যেন ব্যবহার করা না হয়, সেদিকে সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.