চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে একের পর এক বিয়ে করেছেন আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল (৩৫)। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে।
বিয়ে করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা। ৬টি বিয়ে করে তিনি মোট ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, এমনটাই দাবি রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদের।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা তাঁর (আবুল কালাম আজাদ) মোট ছয়টি বিয়ের বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। তবে এলাকাবাসীর ধারণা, তিনি ২০টির বেশি বিয়ে করেছেন। ৬টি বিয়ের মাধ্যমে তিনি এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল নিজেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের অডিট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এই পরিচয়ে তিনি রাজবাড়ীর পাংশার এক কলেজ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। গত ৭ মার্চ তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর শ্যালকের চাকরি দেওয়ার কথা বলে তিনি ৮ লাখ টাকা নেন। ২৭ আগস্ট কলেজছাত্রী বউকে বিক্রির চেষ্টা করেন। তরুণী সেটি বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে পাংশা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁকে নাটোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবুল কালাম আজাদ ওরফে শাহরিয়ার নাফিজ ইমন ওরফে বুলবুল সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, তিনি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন।