আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ৭ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে ‘গ্যারাকাড’ নামক এলাকায় নোঙর করা হয়। তবে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন এবং জাহাজে তাদের নিজ কেবিনেই বন্দি করে রাখা হয়েছে।
গ্যারাকাড উপকূল সোমালিয়ান জলদস্যুদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। ছিনতাই করা জাহাজগুলো এ এলাকায় এনে রাখে জলদস্যুরা। এরপর আদায় করে মুক্তিপণ। গ্যারাকাড সোমালিয়ার একটি উপকূলীয় শহর ও সমুদ্রবন্দর।
স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে দেওয়া সর্বশেষ আপডেটে জানান, জাহাজের ২৩ নাবিক সুস্থ ও নিরাপদ রয়েছেন। জাহাজটি সোমালিয়ার গ্যারাকাড সমুদ্রতীরে নোঙর করেছে।
সন্তানের ছবি দেখে বারবার ডুকরে কেঁদে উঠছেন মা
বিএমএমওএ সভাপতি এনাম আহমেদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন ডাকাতেরা কয়েক দিন অপেক্ষা করবে। নিজেদের অবস্থান সংহত করবে। নাবিকদের ভয়ভীতি দেখানোর চেষ্টা করবে। তারপর জাহাজমালিকের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করতে পারে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ বলেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জাহাজটি সোমালিয়ার গ্যারাকাড বন্দরসংলগ্ন এলাকায় ভিড়িয়েছে জলদস্যুরা। এর ২৩ জন নাবিক নিরাপদে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে
এর আগে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। জিম্মি হন ২৩ নাবিক। এরপর পেরিয়ে গেছে ৬০ ঘণ্টার বেশি সময়।
এর আগে, ২০১০ সালেও একই কোম্পানির মালিকানাধীন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। মালিকপক্ষের উদ্যোগে তিন মাস পর ২৬ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হয়।