 
												ছবি:সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক সব কার্যক্রম থেকে তাকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীর হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করা এবং বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ-উজ-জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের একাডেমিক কাউন্সিলের একটি জরুরি সভা হয়। সেখানে ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
 ‘অশোভনীয় বার্তা’ পাঠানো এবং শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন সময় তাদের পোশাক নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিবাদে সোমবার (১১ মার্চ) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে বিভাগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়।
একই দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডন্টে রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় ওই শিক্ষককে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী সজীব।
মানববন্ধনে মেহেদী সজীব বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে একজন নাগরিক আরেকজন নাগরিকের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। কিন্তু ওই শিক্ষক ক্লাসের মধ্যে জোরপূর্বক মেয়েদের হিজাব খুলতে বাধ্য করেছেন। এটি নিপীড়ন ও অত্যাচার। এমন শিক্ষক আরও যারা রয়েছেন তারা সাবধান হয়ে যান। এ ছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার করতে হবে। পাশাপাশি ওই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’
কর্মসূচিতে নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী বলেন, ‘আমিও এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমি ক্লাসে সবসময় হিজাব পরে আসি। আমার ভাবতে খারাপ লাগে। আমার শিক্ষক এ পোশাককে হেয় করছেন। হিজাব ও বোরকা পরে আসায় তিনি আমাকে বলছেন, আমি নাকি প্যাকেট হয়ে এসেছি। সংবিধানে আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেটি লঙ্ঘন করেছেন। আমি তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে জানতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
